বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বেতাগীতে আবাসনের ঘর দখল, দলিল নিয়ে রাস্তায় ভূমিহীন শিউলি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সারাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত হলেও দখলদারের কাছে পরাধীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে মুজিব বর্ষের ঘর পাওয়া শিউলির। গত বছরের আগষ্ট মাসে ভুমিহীন শিউলি ও তার স্বামী রুবেল আকনের নামে বরগুনার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ঝোপখালী এলাকায় মুজিব বর্ষের একটি ঘরের দলিল হয়। তবে দীর্ঘদিন পর দলিল বুঝে পেলেও স্থানীয় দখলদারত্বের জন্য ঘর পাওয়ার আকুতি নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে শিউলির। একাধিকবার ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এর কাছে গিয়েও মেলেনি সুরাহা। ভ‚মি অফিসের তহসিলদার ও সার্ভেয়ার বুঝিয়ে দিতে গিয়ে ফিরেছেন লাঞ্ছিত হয়ে। তারা এতটাই বেপরোয়া যার ভয়ে ভুক্তভোগী শিউলি বেগম সহ বাকিরা কথা বলার সাহস পায় না।

গত বছরের ৯ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বেতাগী উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ের (দ্বিতীয় ধাপে) মোট ৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম। এর মধ্যে ১২টি ঘর সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ঝোপখালী এলাকায় নির্মাণ করা হয়। ১২টি ঘরের ১১ টি ঘরের চাবি ও দলিল দেয়া হয়। যাদের মধ্যে শিউলি বেগম তিন মাস পর জমির দলিল হাতে পেলেও এখনো ঘর বুঝে পাননি।  

ভুক্তভোগী শিউলি বেগম বলেন, ঝর তুফানে পলিথিন এর নিচে থাকছি। একবার ঘরে উঠছি স্যারেরা আইসা নামাইয়া দিছে। ঘুরতে ঘুরতে দলিল পাইলেও এহন ঘরে উঠতে দেয় না। স্যারেগো কাছে এই চাইর মাস ধইরা যাই আর আই, হেরাও কয়েকবার আইছে  কির লইগা যে মোরে মোর ঘরে উঠাইয়া দেয় না আল্লাহ ভালো জানে।

সরেজমিনে গিয়ে দখলদারদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে উজ্জলের স্ত্রী বলেন, ঘর বানানোর পর থেকেই এইহানে আছি । ঘর না দেওয়া পর্যন্ত নামমু না। 

সুরাহা না দিতে পারার বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) বিপুল সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলিল যার নামে হয়েছে ঘর তাকেই বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এতে কোনো ধরনের অবহেলা নয়। দুই-একদিনের মধ্যেই শিউলির ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে।       

 

মন্তব্য করুন