বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বেতাগীতে নকশাবহির্ভূত খাল খনন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার বেতাগীতে  পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একটি অপরিকল্পিত খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে। খাল খননের নামে চলছে নকশা বহির্ভূতভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাদী জমি, বাড়ির আঙিনা, কবরস্থানসহ বাগান বাড়ি উজাড় করা। স্থানীয়দের বাধার মুখেও থামছে না খনন প্রকল্পের কাজ। ঠিকাদারদের উৎকোচ না দিলেই খনন করা হয় বসত বাড়ির আঙিনাসহ গাছপালা এ অভিযোগও আছে। নকশাবহির্ভূত কাজে বাধা দিলে ঠিকাদারের লোকজন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয়দের মারধরসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও খনন কাজে হচ্ছে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি।

এ বিষয়ে প্রশাসন বলছেন, কয়েকটি স্থানের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে এবং  নকশাবহির্ভূত খাল খননের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই খাল খনন করা হবে।

জানা যায়, বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বেতাগী উপজেলায় ১০টি খাল খননের কাজ শুরু হয়। যা বাস্তবায়ন করছে মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে এসব কাজ বাস্তবায়নের জন্য দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সাব-ঠিকাদার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার। এর মধ্যে পৌরশহরসহ উপজেলার সদর, বিবিচিনি, মোকামিয়া বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের বেশ কয়েকটি খালে খনন কাজ শুরু করে।

স্থানীয়রা জানান, খাল খনন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কর্তৃক মূল খালের নকশার বাইরে গিয়ে ইচ্ছামতো খনন কাজ করছে। ফলে স্থানীয়দের বসতি- বাড়িসহ গাছ-পালা উপড়ে ফেলা হচ্ছে, একই সঙ্গে শ্রমিকের বদলে ভেকু মেশিন দিয়ে খাল খননের ফলে বিনষ্ট হচ্ছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট।

এমনকি গোরস্থানের ওপর থেকেও খাল খনন করছেন ঠিকাদার। ঝোপখালী গ্রামের ভুক্তভোগী মাঈনুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর আগ থেকেই খালটি পরিত্যক্ত, যা স্থানীয়দের কোনো কাজে আসছে না। একই অভিযোগ করেন উপজেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী কামাল খান, পল্টু, আব্দুল আজিজ হাওলাদারসহ অনেকে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা মনির হোসেন লাভলুর দাবি, 'জমির নকশা অনুযায়ী খাল খনন করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় কিছু মানুষ আছে যারা খাল খননের বিরোধিতা করে তারাই নানা অভিযোগ করছেন।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে খালের নকশা অনুযায়ী খনন করতে বলেছি। কিন্তু ঠিকাদার সে অনুযায়ী খাল খনন না করায় সরেজমিন গিয়ে খাল খননের কাজ বন্ধ করা হয়েছিল এবং খননে ব্যবহৃত ভেকু মেশিন সিলগালা করা হয়। এখনো যদি ঠিকাদার অনিয়মের মাধ্যমে খাল খনন করে থাকে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

মন্তব্য করুন