
প্রকাশিত: ১১ জুন, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আনোয়ার হোসেন.নিজস্বপ্রতিনিধিঃ
বেনাপোল ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজমকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (১০ই জুন) সকাল ১১টায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার গ্রেফতার হয়।
সাহাবউদ্দিন আজম গোপালগঞ্জ সদর থানার বিনাপানি গার্লস স্কুল রোডের মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১১ টার সময় তাকে আটক করা হয়।
তার পাসপোর্ট নম্বর-B00073948), পিতাঃ মৃতঃ মইনুদ্দিন গ্রাম বিনাপানি গার্লস স্কুল রোড পোস্টঃ গোপালগঞ্জ সদর থানাঃ+জেলাঃ গোপালগঞ্জ
আজমের স্ত্রী সঙ্গে থাকলেও কোনও অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছ।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা , মঙ্গলবার সকালে ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনের ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দেন সাহাবউদ্দিন আজম। তার পাসপোর্টে স্টপ লিস্ট থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি পৃথক মামলা থাকায় তাকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার দেখিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজমের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলাসহ সেনাসদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, ইমিগ্রেশনে খবর ছিল গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজম ভারতে যেতে পারেন। সেই মোতাবেক বহির্গমন বিভাগের সব অফিসারকে সতর্ক করা হয়। সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করে বহির্গমন সিল মারার জন্য ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দেন আজম। অনলাইনে তার স্টপ লিস্ট থাকায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু গোপালগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় তার নামে মামলা রয়েছে, সেহেতু তাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন