ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ভাঙ্গায় কিশোরী ধর্ষণের পরে হত্যার রহস্য উৎঘাটন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌরসদরের হোগলাডাঙ্গি সদরদী গ্রামের চাঞ্চল্যকর কিশোরী রেখা আক্তারকে ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মূল আসামী প্রতিবেশি কিশোর শাহাদাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘাতক শাহাজালাল ওরফে শাহাদাত (১৬) ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী হোগলাডাঙ্গি গ্রামের টুকু মাতুব্বরের ছেলে।

সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১ টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ  মোর্শেদ আলম।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ জুন শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী হোগলাডাঙ্গি গ্রামের পাট ক্ষেত থেকে কিশোরী রেখা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে ঘাতক। 

পরের দিন ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহতের মা মেরী আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ভাঙ্গা থানা পুলিশ, সিআইডি, ডিবি সহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চৌকস সদস্যরা ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়।

এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার রাতে নিহতের প্রতিবেশি কিশোর শাহজালাল ওরফে শাহাদত কে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও আদালতেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেয়।

ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনা বর্ননা করে পুলিশ সুপার জানান, ঐ দিন মেয়েটি বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। সেসময় প্রতিবেশি শাহাদাত তার গোসল করার দৃশ্য দেখে। পরে মেয়েটিকে ফুসলিয়ে পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে তাকে জোরপূর্কবক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি তার বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে দিবে বলে জানায়। তখন এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়েটির সেলোয়ার দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে শাহাদাত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহেনশাহ, জেলা সদরের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টি.আই) মো. তুহিন লসকর, ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন আল রশিদসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

মন্তব্য করুন