প্রকাশিত: ১৭ ঘন্টা আগে, ০৭:২২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ভারতের গণমাধ্যমগুলো বিনোদনের মাধ্যম পরিণত হয়েছে এখন.প্রেস সচিব

 

 আনোয়ার হোসেন,যশোরঃ

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোঃশফিকুল আলম বলেছেন, ‘ভারতের গণমাধ্যমগুলো এখন বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেখানে কোনও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নাই। গায়ের জোরে কথা বলে, নাটক তৈয়ারী করাই তাদের এখনএ কাজ। এখন দেখার বিষয় তাদের রেসপন্সিবল মিডিয়াগুলো আসলে কতটা ভালো জার্নালিজম করছে।’

ভারতে বাংলাদেশের  গণমাধ্যম বন্ধের পর বাংলাদেশের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টের পতনে তাদের (ভারতের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সেই কারণে তারা আমাদের কয়েকটি মিডিয়ার সম্প্রচার সে দেশে বন্ধ করেছে। আমরা তা করতে চাই না।

গতকাল শনিবার (১০ই মে) বিকাল বেলা যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

আমরা অনেক দিন ধরে লক্ষ করছি, তারা যা তা নিউজ করছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো বন্ধ করা হয়েছে,আমাদে অনেক  মিডিয়াগুলো ভালো নিউজ করে। এটি দুর্ভাগ্যজনক

সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ফ্যাসিস্ট ছিলেন। তার দেশত্যাগের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে একটা স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তাহার দেশত্যাগের সঙ্গে যাহারা জড়িত তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেই। স্টেটমেন্টের বাইরে আমার কিছু বলার নায়।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এসএম রাশিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা খাতুন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোঃ শফিকুল আলম সহ অতিথি গন অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছালে তাদের কে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।

পুনর্মিল কে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা  বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছিল। পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাক্তনরা অনুষ্ঠানে যোগদান করে। ছিলেন বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এলাকার সাধারণ গন মানুষও এই উৎসবে শামিল হয়েছিল।

মন্তব্য করুন