
প্রকাশিত: ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁর বদলগাছীতে একটি মসজিদের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা ভুয়া সভাপতি সেজে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবক মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
জানা যায়, গত ০৮-০৭-২৪ রবিবার বদলগাছী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাতসাইল গ্রামে অবস্থিত বাজার জামে মসজিদের নামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠোমো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬৫ হাজার টাকার চেক। যে যুবক চেকটি গ্রহন করে ঐ যুবক কমিটির সভাপতি বা সদস্য কেউ নয়। সে বদলগাছী ভাড়া বাসায় বসবাস করে। চেকটি গ্রহন করে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের টাকা মসজিদ কমিটির কাউকে না জানিয়ে ভুয়া সভাপতি সেজে গত চার দিন আগে চেক গ্রহন করে ভাতসাইল গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবক। চেক গ্রহন করে টাকা উত্তোলন করে ঐ যুবক। পরে জানাজানি হলে মসজিদ কমিটির সভাপতি এবং কমিটির লোকজন টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে তালবাহানা করে আসছে মো. রবিউল ইসলাম।
স্থানীয়রা আরো জানান, রবিউল ইসলাম ভাতসাইল বাজার জামে মসজিদের নামে গত কয়েক মাস আগেই একটি বরাদ্দ নেয়। সেসময়ও বরাদ্দের টাকা মসজিদে দেওয়ার সময় বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে ৬৫ হাজার টাকা মসজিদ সংস্কারের জন্য দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়ে কমিটির সভাপতি এবং সদস্য কেউ কিছু জানে না। পরে জানাজানি হলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরে কমিটির সভাপতি এবং সদস্য সবাই মিলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো আনোয়ার হোসেনের দ্বারস্থ হই। অনেক চেষ্টার পরও চারদিন হলো আমরা মসজিদের নামে ৬৫ হাজার টাকা হাতে পাই নি। সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে।
এবিষয়ে ভাতসাইল জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.আব্দুস সাত্তার বলেন,আপনি যা শুনেছেন সবই সত্য। আমি কমিটির সভাপতি কবে চেক দেওয়া হবে আমি কিছুই জানি না। পরে জানতে পারার পর রবিউলের কাছে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে কয়েকদিন সময় লাগবে বলে কমিটির সভাপতি কে জানানো হয়।
তবে অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক রবিউল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি ঈগল এবং বিএনপির ভোট করেছে। আগের কমিটির সাথে ঝামেলা আছে এই জন্য তারা চেক নিতে আসতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। যাই হোক বিষয়টি প্রসেসিং চলছে। আজকে আসরের নামাজ পরে চেকটি কমিটির কাছে হস্তান্তর করবো।
এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চ.দা) মো কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, আমি এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাহেবের সাথে কথা বলেছি। টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা আছে। বর্তমানে কমিটির সভাপতি অন্য কেও আমার মনে হয়। তবে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ সকল অভিযোগের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অর্থ ফেরতসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন