
প্রকাশিত: ৭ জুন, ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাস টার্মিনালকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতায় মহাখালীর বিস্তীর্ণ এলাকায় অসহনীয় যানজট তৈরি হচ্ছে। দিনের পর দিন এই ভয়াবহ যানজটে নাগরিকদের কষ্টকর পথ পেরোতে হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই নাগরিক দু:খ-কষ্টের প্রতি বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপই করছে না। ফলে জটিলতা দীর্ঘ সময়, দীর্ঘ বছরেও নিরসন হওয়ার পরিবর্তে বরং ঘণীভূত হয়েছে বেশি।
কোথায় সমস্যা, কোথায় জটিলতা-এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে রূপালী বাংলাদেশ জানতে পারে, মূল জটিলতা অন্যখানে। বাস টার্মিনালের সামনে মূল সড়কে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই মূলত: এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিক গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে সড়কের একটি বৃহৎ অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে, ছোট পরিসরে রাস্তায় যান চলাচলে তাই প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে- সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। দিন যায়, মাস যায় বছর গড়ায়, এর কোন প্রতিকার নেই। না মালিক সমিতি, না পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ- কারোরই যেনো এ বিষয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। প্রায় সবার সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। সবাই খাড়া যুক্তি দেখিয়ে বিষয়টি আপাত সমাধানের চেষ্টা করেন।
পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বললেন, টার্মিনাল ভবনে সাড়ে তিন শ’ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকলেও রাখতে হচ্ছে নয় শ’র মতো। এই চাপের কারণ হলো, এই টার্মিনাল থেকে দেশের ১৭-১৮টি জেলার গাড়ি আসা-যাওয়া করে। প্রায় ৭০ পয়েন্ট থেকে গাড়ি এখানে আসে।
মূল সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণ সম্পর্কে তার সোজা-সাপ্টা উত্তর, ‘ট্রাফিক বিভাগ থেকে বলা আছে। মহাখালী ট্রাফিক অফিসকে জিজ্ঞাসা করুন। ’ইজারাদার অফিসে গিয়ে দেখা মিললো ম্যানেজার রাহাতের সঙ্গে। তার ভাষ্য, ‘আমরা অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখভাল করি। গাড়ি সংক্রান্ত সব বিষয় দেখা-শোনা করে পরিবহন মালিক সমিতি।’
কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রাব্বানী বললেন, ‘আমরা এখান থেকে কোনা যাত্রী উঠা-নামা করতে দিই না। ডিএমপি কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষেরে পালন করছি।’
রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘এটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।’
সবশেষে রূপালী বাংলাদেশ কথা বলে মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার আরিফুল ইসলাম রনির সঙ্গে। তিনি ক্যামেরার সামনে মূল বিষয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে শুধু এটুকু বললেন, ‘সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা করছি।’
মন্তব্য করুন