রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৪, ০২:২৯ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

মাধ্যমিক স্তরে ৩২৫৫ কোটি টাকার লেইস প্রজেক্ট

ছবি সংগৃহীত

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ  কর্তৃক বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (LAISE) প্রজেক্ট গৃহীত হয়েছে।


অক্টোবর ২০২০ হতে সেপ্টেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত এ  মেয়াদে প্রজেক্টটি বাস্তবায়িত হবে।
লেইস প্রজেক্ট ৩১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে একনেক (ECNEC) কর্তৃক অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৫০৪.০৮ কোটি টাকা।

এর মধ্যে উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প ঋণ ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ ৩২৫৫.৬০ (৯৮.৫০%) কোটি টাকা ও বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ ৪৮. ৪৮ (১.৫০%) কোটি টাকা। 


বিশ্বব্যাংকের সাথে লেইস প্রজেক্ট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর।


বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রের রূপান্তরে সরকার বিগত দশকসমূহে অগ্রগতি সাধন করেছে, যার ফলে শিক্ষায় লক্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারি শিক্ষার চলমান উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে, বিশেষত মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য পরিমাণে শিখন খাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে ও নতুন শিক্ষাক্রমের চাহিদাপূরণে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (LAISE) প্রজেক্ট গৃহীত হয়েছে।

লেইস প্রজেক্ট ৩টি মূল লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বাস্তবায়িত হচ্ছে: মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিখন ত্বরান্বিত ও ধরে রাখার হার বৃদ্ধি, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকগণের দক্ষতা উন্নয়ন এবং মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা (secondary education system ) ও সহনক্ষমতা (resilience) উন্নয়ন।

লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (LAISE) প্রজেক্ট নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে:
প্রশিক্ষণ: মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ৩৬৭৮৯০ জন শিক্ষককে (স্কুল: ২৭০৮১০. ও মাদ্রাসা: ৯৭০০০) বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যেমন: মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকগণের বিষয়ভিত্তিক প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং, নতুন শিক্ষকগণের জন্য বেসিক ট্রেনিং, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের জন্য (স্কুল ও মাদ্রাসা) লীডারশীপ ট্রেনিং, শিক্ষার্থীগণের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, কাউন্সেলিং ও বুলিং প্রতিরোধ বিষয়ে শিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ, ব্লেন্ডেড লার্নিং বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, লাইব্রেরিয়ানগণের জন্য প্রশিক্ষণ, শিক্ষকগণের জন্য আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধের বিষয়ে সচেনতা সৃষ্টির নিমিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।


মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন: মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০৩৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (৬৯২৮টি স্কুল ৩৪১২টি মাদ্রাসা) প্রতিটিতে ২টি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে।


লাইব্রেরি উন্নয়ন: সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে মোট ২৯৫৮৫টি প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ১৮৮৯৪; স্কুল ও কলেজ ১৪২০ এবং মাদ্রাসা ১২৯১) লাইব্রেরির অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৯৫৮৫টি প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হবে।


মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, বুলিং প্রতিরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি: মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং প্রতিরোধে পাইলট ভিত্তিতে সিটিটিভি ক্যামেরা স্থাপন (৫১৭টি প্রতিষ্ঠান)।

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে অংশীজনদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান।

মন্তব্য করুন