শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৫১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি, স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ ঘাটে আশপাশে অবস্থান নেন, তারা কখন ফিরবে সে আশায়। স্বজনদের চোখে মুখে অসহায়ত্বে কথা ফুটে উঠে।

কেউ আসছেন সন্তানকে নিতে৷ কেউ আসছেন স্বামীকে কিংবা ভাইকে নিতে।

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষ করে ১৭৩ জন বাংলাদেশি বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশী কর্ণফুলি জাহাজটি কক্সবাজার নুনিয়াছড়া বিআইডাব্লিউটিএ ঘাঁটিতে এসে পৌঁছে। একে একে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে নৌ বাহিনী,  কোস্ট গার্ড ও পুলিশ।

এরআগে মিয়ানমারের জাহাজ যোগে এদেরকে বাংলাদেশ জল সীমানায় এনে বেসরকারি এফবি কর্ণফুলি জাহাজে তুলে দেয়া হয়।

বেলা ১টা নাগাদ ঘাটে এসে ভিড়ে জাহাজটি।
প্রথমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদের মধ্যে ১৪৪ জনে সাজা ভোগ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২৯ জনের সাজার মেয়াদ এখনো থাকায় তারা বাংলাদেশ জেলে সাজা ভোগ করার কথা রয়েছে। সকাল থেকে স্বজনরা নৌ ঘাটে অপেক্ষা করছে কখন ফিরবে তারা।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রত্যাবাসিত ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে ‘চিন ডুইন’ নামক জাহাজ মিয়ানমারের রাখাইনের সিতোয়ে বন্দর ছাড়ে।


মিয়ানমারের এই জাহাজটি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে দেশে ফিরে যাবে।

দেশে ফেরা ১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবানের, সাত জন রাঙামাটির এবং একজন করে খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার বাসিন্দা মিয়ানমারে কারা ভোগ করে ফিরে আসারা জানান, কারাগারে তাদের দর্বিষহ স্মৃতি কথা।


মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে থাকা ১৪৪ বাংলাদেশি নাগরিকের কারাভোগের মেয়াদ আগেই পূর্ণ হয়। 

আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় মিয়ানমার সরকারের ২৯ জনের সাজা মওকুফ করে দেন। তবে, এদেশে সাজা ভোগ করা শর্তে তাদের মুক্তি দেয়া হবে।


অবৈধ পথে বিদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেন হুইফ সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র  মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।

মন্তব্য করুন