
প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে ২৯মে নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীকে প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেলেও স্বতন্ত্র বা অন্য দলের কোন প্রার্থী নেই ।
আসন্ন মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বা যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ ’আনারস’ প্রতীকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ’প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি’ স্বাধীণতা পরবর্তী মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনের প্রথম সংসদ সদস্য, মরহুম ডাঃ নূরুল ইসলাম এর কনিষ্ঠ পুত্র দিদারুল পাশা (হাজী দিদার পাশা) মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে মুহাম্মদ হাসমত উল্লাহ ’তালা’ প্রতীকে, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ‘টিয়াপাখি’, ইব্রাহীম খলিলুল্ল্যাহ ’চশমা’ প্রতীকে আবু হাসান মাহমুদ ”টিউবওয়েল’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংরক্ষিত (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের নাম শোনাচ্ছে, প্রচার-প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে তারা হলেন কামরুন্নাহার ’বৈদ্যুতিক পাখা’ প্রতীকে, জেসমিন আক্তার ’হাঁস’ প্রতীকে, জোনাকি কলস প্রতীকে, ফারজানা ফরিদ পুথি ’ফুটবল’ প্রতীকে, সাহিদা খাতুন ’পদ্মফুল’ প্রতীকে ও হাবিবুন নাহার ’প্রজাপতি’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় তিনটি পদেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর প্রচারণা দেখা গেলেও নির্বাচনী মাঠে নেই স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থীরা।
জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৮ জন। এদিকে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, দলীয় প্রতীক না থাকলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই গণসংযোগ শুরু করেছেন। গ্রামগঞ্জের হাট-বাজার ও চা স্টলগুলোতে চলছে নির্বাচনী আলাপচারিতা। ভোটাররা মনে করছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সুষ্ঠ নির্বাচন হলে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।
মন্তব্য করুন