রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রাঙামাটি মেডিকেলের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় সংকট

ছবি সংগৃহীত

এক দশকেও স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়ায় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে বিরাজ করছে নানা সংকট। বর্তমান অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় একাডেমিক ও পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। বিরাজ করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট। এছাড়া মেডিকেল কলেজটিতে রয়েছে শিক্ষকসহ জনবল সংকট। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এসব সংকটের কথা জানান।

সূত্রে জানা যায়, দেশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্পের স্থাপত্য কার্যক্রম স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ করে থাকলেও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের দায়িত্বে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ থেকে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স শেষ করে বের হয়ে গেছেন ১৫৩ জন। বর্তমানে ৫টি ব্যাচে অধ্যায়নরত আছেন ২৪৯ ছাত্রছাত্রী। তাদের মধ্যে পাহাড়ি ৯৪ ও বাঙালি ১৫৫ জন। এছাড়া এবার নতুন কোর্সে ভর্তি করা হবে ৭৫ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন পাহাড়ি ১৭ ও বাাঙালি ৫৮ শিক্ষার্থী। এর আগে
প্রতিবছর ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো হতো ৫১ জন। যাদের মধ্যে ছিল পাহাড়ি গড়ে ১১ জন এবং বাঙালি ৪০ জন। বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৭৬ জন।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রথম এ মেডিকেল কলেজটি চালু হয় ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি। শুরুর ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে একাডেমিক ও পাঠদানসহ যাবতীয় কার্যক্রম। ইতোমধ্যে শহরের রাঙাপানি হ্যাচারি এলাকায় ২৬ একর জমি অধিগ্রহণ ও ডিজিটাল সার্ভে শেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠানো হলেও তা একনেকে অনুমোদন না পাওয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ আজও শুরুই হতে পারেনি। ফলে
একাডেমিক ও শ্রেণী কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট এখন প্রকট।

অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়ায় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে দীর্ঘবছর ধরে একাডেমিক ও শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনায় খুব কষ্টকর হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা দিতে পারি না। শিক্ষকদেরও বসার জায়গা নেই। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের গাদগাদি করে বসে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এর আগে প্রতিবছর ৫১ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হতো। এবার থেকে তা বাড়িয়ে ৭৫ জনকে ভর্তির নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বসার সংকট আরও বাড়বে।

এছাড়াও স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট বিরাজ করছে। রয়েছে শিক্ষকসহ জনবল সংকটও। প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৩১৪ জনবলের মধ্যে এ পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয় ৭৬ শিক্ষকসহ মাত্র ৯৯ জন। সংকট দূর করতে শিগগির স্থায়ী ক্যম্পাস নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ অত্যাবশ্যক।

তিনি জানান, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য শহরের রাঙাপানি হ্যাচারি এলাকায় ২৬ একর জায়গা অধিগ্রহণ ও ডিজিটাল সার্ভে শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠানো হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে মন্ত্রণালয় থেকে তা একনেকে পাঠানো হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু প্রকল্পটি এখনো একনেকে অনুমোদন পায়নি। আশা করছি শিগগির অনুমোদন দিয়ে দরপত্র আহবান করা হবে।

মন্তব্য করুন