ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ মে, ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি

ছবি সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলার সোনাগাজীতে অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ বিশেষ সতর্ক জানিয়েছে প্রশাসন। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য জেলা ও সোনাগাজী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিড়া, গুড়, মুড়ি, বিস্কুটসহ
শুকনো খাবার ও ৫০ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শুক্রবার থেকে থেমে থেমে উড়ো বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। আকাশে মেঘ-রোদ লুকোচুরি খেলছে এবং হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে রেমালের গতিবিধি পর্যালোচনা করে আজ রোববার সকাল থেকে চারটি উপকূলীয় ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনলাইনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভাগীয় কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিপিপির কর্মকর্তা, দলনেতা, স্বেচ্ছাসেবক ও জনপ্রতিনিধিরা উপকূলীয় চারটি ইউনিয়ন চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সোনাগাজী সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় তাদেরকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া গবাদিপশু গুলোকেও নিরাপদে সরিয়ে নিতে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, সতর্কবার্তা পাওয়া মাত্রই তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্য ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় মাঠে কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সোনাগাজীতে অর্ধশত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার সব কয়টি বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে এবং ১৪টি চিকিৎসক দল, জনপ্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস, আনসার-ভিডিপি এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ আড়াই হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।

মন্তব্য করুন