ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭ মে, ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রেমালে ফেনীর ৫০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৪ লাখ মানুষ

ছবি সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অতিক্রম করলেও এর প্রভাবে ফেনী জেলায় গতকাল রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস অব্যাহত রয়েছে। জেলার সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

জানা যায়, গতকাল রবিবার বিকাল থেকে জেলার সবকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ ছিল আসা-যাওয়ার ওপর। সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল ঝড়ো হাওয়ার সাথে জেলাব্যাপি প্রবল বর্ষন শুরু হয়। ভারী বর্ষন ও দমকা বাতাসের দরুন বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ওপর বেশ কয়েকটি স্থানে বড় গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে দূর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

তাদের দেয়া তথ্য মতে, জেলার ৬ উপজেলার অন্তত ৪ লাখ মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন।

সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইলিয়াছ বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাসের কারণে গাছপালা উপড়ে পড়েছে; যার কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। মধ্যরাত থেকে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেনি।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে এলে সংযোগ সচলে কাজ শুরু হবে। বর্তমানে জেলায় পল্লী বিদ্যুতের চার লাখ গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ফেনীর উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখনও ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। আজ রাতভর বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সোনাগাজীতে অর্ধশত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিদ্যালয়গুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া ও গাছপালা উপড়ে পড়া ছাড়া বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন