
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবার, ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
প্রতিনিধি শ্রীপুর (গাজীপুর):
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল (২৮ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১টার সময় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত ঐ নারীকে গলাকাটা অবস্থায় নিয়ে আসে স্বজনরা। নিহত স্মৃতি রানি পাল (৩০) বরমী বাজার কামারপট্টি এলাকার মৃত গোপাল মিস্ত্রীর নাতী কাব্য সরকারের স্ত্রী৷ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা ও এক জোড়া জুতা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর দুই বছরের একটি ছেলে আছে। স্মৃতি রানীর বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। বাবার নাম সুনীল পাল।
স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাতে তিনি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাত ৯:৩০ টার দিকে হঠাৎ পাশের ঘর থেকে স্মৃতি রানীর চিৎকার শোনেন। ওই ঘরে গিয়ে দেখতে পান মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন স্মৃতি। পাশে পড়ে আছে রক্তমাখা দা। স্মৃতিকে দ্রুত উদ্ধার করে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত স্মৃতির বাবা সুনীল পাল বলেন, তিন বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে কাব্যের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সোমবার রাত আনুমানিক ৯টা ১৪ মিনিটে সবশেষ কথা হয় স্মৃতি রাণীর সঙ্গে। তখন স্মৃতির সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা হয় এবং তার স্বামী সন্ধ্যায় ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে তাকে জানান। রাত ১০টায় স্মৃতির স্বামী কাব্য ফোনে স্মৃতির কিছু হয়েছে বলে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে স্মৃতির মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। স্মৃতির আঘাত পাওয়ার কথা জেনে স্বামী ভারত যাওয়ার পথ থেকে ফিরে আসেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুদেব চক্রবর্তী বলেন, রাত ১০টা ৪০ মিনিটের সময় মৃত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় ঘাড়ে ধারালো কোনো কিছু আঘাতে গভীর ক্ষত ও ডান হাতের কবজির কাছাকাছি ক্ষত ছিল। পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, গৃহবধূর ঘর থেকে রক্তমাখা দা ও এক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় আনা হয়েছে।তবে হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য এখনই জানাতে পারেনি পুলিশ৷ স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
মন্তব্য করুন