চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ জুন, ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সখ্যতা গড়ে গরু ব্যবসায়ীদের স্বর্বস্ব লুটে নেয় তারা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যাত্রীবেশী অজ্ঞান পার্টি চক্রের ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই চক্রটি বিভিন্ন পন্থায় মানুষকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে চেতনা নাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন থানায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বাগেরহাট জেলার বাচ্চু মাঝি (৪৮), চুয়াডাঙ্গা জেলার হাসেম আলী (৪৮), সালামত( ৫৫), শাহাবুদ্দিন শুকচাঁন (৩০), ইব্রাহিম (৫০) এবং আব্দুর রাজ্জাক (৪৭)।

পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় রয়েছে রয়েছে মোট ১১টি পশুর হাট। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব হাট গুলো জমজমাট হয়ে ওঠে। পশুর হাট গুলো শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্রায় প্রতি বছরই অজ্ঞান পার্টির মলম পার্টি, প্রতারণা সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম দৌরাত্ম বেড়ে যায়। এছাড়াও পরিবহনগুলোতেও বাসের যাত্রীবেশী অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা টার্গেট করে সাধারণ যাত্রীদের অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। একারনে জেলা পুলিশ এসব অজ্ঞান পার্টির বিরুদ্ধে শুরু করে অভিযান ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন পর্যায়ক্রমে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।

এসময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)  নাজিম উদ্দিন আল আজাদ জানান, ঈদ উদযাপনকে নির্বিঘ্ন ও উৎসব মুখর করতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি প্রতারক শ্রেণীর অপরাধীদের দ্বারা সর্বস্বান্ত না হয়। কোন ধরনের জীবনহানি যাতে না ঘটে ইত্যাদি বিভিন্ন কার্যক্রম কে সামনে রেখে একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি পশুর হাটে, বড় বড় শপিংমল, বাস স্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের ডিউটির পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ নিয়োগ করে এসব অপরাধীদের ফাঁদ পেতে ধরা অব্যহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন