
প্রকাশিত: ১২ মে, ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেটে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন। সিলেটে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। গতবছর পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৫২ জন।
রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সিলেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮০ হাজার ৬ জন উত্তীণ হয়েছে। গত বছর ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৩ হাজার ৩০৬৬ জন উত্তীণ হয়েছিলো। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।
এদিকে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিন বছর পর পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়া এবং কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন কঠিন হওয়ায় এবছর রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। একই সাথে স্কুলগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ও অনলাইন পাঠদান রেজাল্টে প্রভাব ফেলেছে।
এ বিষয়ে সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রধান শিক্ষক হেপি বেগম জানান, সব শিক্ষা বের্ডেই তিন বছর পর পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। এটি শুধু সিলেটের জন্য নয়। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পিছনে একটি কারণ শিক্ষার্থীদের মনোযোগের ঘাটতি। শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিভাবকদের কিছুটা উদাসীনতা রয়েছে। এছাড়া সিলেটের শিক্ষার্থীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা রেজাল্টে প্রভাব ফেলেছে।
মন্তব্য করুন