
প্রকাশিত: ৮ মে, ২০২৪, ১২:৫৩ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যেগে গত ৪ মে ওরলান্ডোতে আপনা ইভেন্ট সেন্টার ও আপনা বাজার এর পার্কিং প্লেসে বসেছিল বাংলা নববর্ষের দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব।
৪ মে সকাল ১০ টা থেকে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী টিম পুরো ভেন্যুটাকে বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচারের আদলে রাঙ্গিয়ে তুলেন। আলপনা, ফানুস, দেশীয় গ্রামীন কারুশিল্প দিয়ে চমৎকার করে সাজানো হয়। বিকেল ৫ টা থেকে নানা সিটির প্রবাসীরা পরিবার পরিজন নিয়ে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যায় পুরো ভেন্যু ইনডোর আউটডোর লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। রকমারি ভেন্ডররা নানা ধরনের দোকান নিয়ে বসেন। ছিল দেশীয় খাবারের নানা আয়োজন। নানা ধরনের পিঠা, মুড়ি, সন্দেশ, ভাত, বিরিয়ানি, আম চাটনি, আম ভর্তাসহ নানা মুখরোচক খাবারের দোকান। ছিল কাপড়ের, খেলনার অনেক গুলো দোকান।
সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে শুরু হয় বাচ্চাদের যেমন খুশি সাজের আয়োজন। বাচ্চারা কৃষক, মৃুক্তিযোদ্ধা, পাহাড়ি মেয়ে, নতুন বউসহ নানা সাজে উপস্থিত হয়। বিচারকরা তিনজনকে ১ম, ২য় ও ৩য় নির্বাচিত করলেও সকলকে পুরুস্কৃত করেন।
আপনা হলের ভেতরটাকে চমৎকার করে বৈশাখের আদলে সাজানো হয়। পার্কিং প্লেসটাতে ১৬০ ফুটের আলপনা ও দেয়ালে সুদৃশ্য তিবটা বৃহাদাকার ব্যনার পুরো ভেন্যু টাকে আকর্ষনীয় করে তুলে। ছবি ও সেলফির প্রতিযোগীতা চলে। বৈশাখের উৎসবে ছিল ফ্যাশন শো, নাচ ও পাহাড়ি নৃত্য।
নিউইয়র্ক এর শিল্পী রাজিব ও রোকসানা মির্জার অনবদ্য পরিবেশনা। রাজিব এক ঘন্টা একক সংগীত পরিবেশেন করেন। রোকসানা মির্জা দেশের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন দেড়ঘন্টা।। রাজিব ও রেকসানা অনেক গুলো ডুয়েট গান পরিবেশন করেন। নানা শহরের প্রবাসীরা গান, নাচ, আড্ডা ও কোনাকাটায় বেশ উপভোগ করেন। আপনা প্লাজার বাহিরে আলোর ব্যবস্থা থাকায় সবাই বাহিরে সময় কাটিয়েছেন বেশী। ঈদের পর অনেকের সাথে দেখা হবার সুবাদে ঈদের গেটটুগেদার টা হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সোসাইটির যারা জড়িত ছিলেন- মাহবুবুর রহমান মিলন, ফখরুল আহসান শেলী, মোয়াজ্জেম ইকবাল, মোহাম্মদ হোসাইন শাহিন, রোমেল আহমদ, ইউনুস হোসেন, সামসুদ তোহা, সিপু খন্দকার মিসেস লিপি, সাদ জামান আপেল, সম্পদ, রকিবুল আলম, মোহাম্মদ মারুফ, মনির, বাবু, সাহেদ, মোহাম্মদ সেলিম, জাহাঙ্গীর আলম, ছমির উদ্দিন, মিলন আহমদ, তোফায়েল আহমদ, মিসবাহ তালুকদার রিফাদ, আমিনুল ইসলাম অপু,ওয়ারেস আলী।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি রোমেল আহমদ জানান, এই শহরে আমরা এবার বৈশাখের উৎসবটা একটু ভিন্ন আদলে করলাম। সবাই উপভোগ করছেন। আগামীতে আমরা পুরো অনুষ্টানটা আউটডোরে পালনের চেষ্টা করব ।
সোসাইটির সাধারন সম্পাদক, ইউনুস হোসেন জানান, আমাদেরকে সবাই সহযোগীতা করেছেন। সোসাইটি একটি পুরোনো সংগঠন, অনেকেই এই সংগঠনকে এগিয়ে নিতে চেস্টা করেছেন। তাই সোসাইটির সবগুলো অনুষ্টান সফলতা পায়।
বাংলাদেশ সোসাইটি দীর্ঘদিন থেকে শহরে বৈশাখের অনুষ্টান করে আসছে। তাই সোসাইটির আহবানে নতুন পুরাতন কমিউনিটির সবাই জড়ো হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন