প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ



মোঃ একরামুল হক হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৭ই এপ্রিল ) বাদ যোহর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুফতী ও মুহাদ্দিস মুবাল্লিগে ইসলাম আল্লামা মুফতী জসিম উদ্দিন বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যাবে না। বরং শহীদদের রক্তের পথ ধরেই বিজয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার নিরাপরাধ গাজাবাসীকে হত্যা করেছে। মূলত ইসরায়েলি বর্বরতা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। গাজায় তাদের হামলা রীতিমতো যুদ্ধাপরাধের শামিল। বর্বর হামলার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তিনি অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। অন্যথায় বিশ্বমুসলিম ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক,বিশ্ব বরেণ্য ইসলামী আইন বিশারদ আল্লামা মুফতী কিফায়াতুল্লাহ বলেন, মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনই মধ্যপ্রাচ্য সংকটের অদ্বিতীয় সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে। কিন্তু ইহুদিবাদী দখলদাররা ভূমিপুত্রদের সেখান থেকে উৎখাত করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরাপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও। এমনকি জায়নবাদী বর্বরতার শিকার হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বোপরি তারা রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। তাই ইহুদীবাদীদের এই নির্মমতার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।

হেফাজতের হাটহাজারী উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক জনাব মোরশেদ আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ এর যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, জনাব আব্দুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, মাওলানা মাহমুদ হোসাইন,জনাব নূর মুহাম্মদ,মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ,মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ,মাওলানা মীর লোকমান আলী, জনাব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা ওজাইর আহমদ হামিদী, মাওলানা মিজান ইবনে আলী, হাফেজ মহিউদ্দিন, হাফেজ শফিউল বশর, আবু তাহের রাজিব, মাওঃ জিয়াউল হক, এইচ এম শহিদ, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ তাওহিদুল ইসলাম, মাওলানা ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন