
প্রকাশিত: ৭ ঘন্টা আগে, ১২:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘Alert! সাবধান ইন্টেরিম!’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ইস্যুতে এভাবেই নিজের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে একটি বার্তা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতিমা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) উমামা ফাতেমা তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই বার্তা দেন।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘Alert! সাবধান ইন্টেরিম! ছাত্ররা যমুনার আগে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে police একবার রমনার দিকের রাস্তার লাইট অফ করে দিয়েছিল।
ছাত্ররা চেঁচামেচি করলে আবার লাইট জ্বালায়। ততক্ষণে পুলিশ রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। কাকরাইলের রাস্তায় প্রচুর পুলিশের গাড়ি। পুলিশ বুলেট ভেস্ট পড়ে প্রিপারেশন নিচ্ছে এমনটা ছাত্ররা জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্ররা তথ্য দিল, তারা পুলিশকে বন্দুকে বুলেট লোড করতে দেখেছে। ছাত্ররা আতংকিত, হেয়ার রোডে ৫ জন শিক্ষক কথা বলতে গিয়েছিল, তারাও বের হয়ে আসছে। আমি ছাত্র-শিক্ষকের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত শংকিত।’
সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাসে ছত্রভঙ্গ জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চসাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাসে ছত্রভঙ্গ জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও লিখেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গায়ে যাতে একটা টোকাও না লাগে।
মাহফুজ আলম ভাইয়ের গায়ে বোতল ছুঁড়ে মারার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।
আমি অনুরোধ করতে চাই, আপনারা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব হিসেবে ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নিন। আপনারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই জগন্নাথের ছাত্রদের গায়ে একটা টোকাও যাতে না লাগে।’
এর আগে তিন দফা দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাতে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়।
পরে সমঝোতা করতে সেখানে উপস্থিত হন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি চক্র তার ওপরে আক্রমণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একটি পক্ষ ঢুকে আন্দোলনকে স্যাবোটাজ করার চেষ্টা করছে, তারা কারা তাদের নাম বলতে চাই না।
মন্তব্য করুন