
প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৫:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বরেণ্য রাজনীতিক, সাংবাদিক ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী বুধবার (১৩ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১১টায় মীরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল। একই দিনে জননেতা আনোয়ার জাহিদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কবরস্থান প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপির আয়োজনে এনডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত সাংবাদিক জননেতা আনোয়ার জাহিদ এর ১৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক বিবৃতিতে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার জননেতা আনোয়ার জাহিদ এর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার আহবান জানান।
বর্ণাঢ্য জীবন:
১৯৩৫ সালের ১২ জুন ঝিনাইদহের দাড়িয়া গোবিন্দপুর গ্রামে জন্ম আনোয়ার জাহিদের। ঝিনাইদহ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, দৌলতপুর বিএল কলেজ ও রাজশাহী সরকারি কলেজে পড়াশোনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ ভর্তি হন। রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় ও কারাবাসের কারণে এমএ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারেননি।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ঝিনাইদহে ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করেন। পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগ, এবং মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তথ্যমন্ত্রী ও ত্রাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বিএনডিপি প্রতিষ্ঠা করেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং জাতীয় ঐক্য গঠনে ভূমিকা রাখেন।
সাংবাদিকতায় অবদান:
মাত্র ১৯ বছর বয়সে দৈনিক ইত্তেহাদ-এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। ধূমকেতু, সংবাদ, ইত্তেফাক, জনতা, গণবাংলা, দ্য পিপলস, বাংলাদেশ টাইমস ও দৈনিক ইনকিলাব-এ বিভিন্ন সম্পাদকীয় দায়িত্ব পালন করেন।
সমকালীন নেতাদের শ্রদ্ধা:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “স্বাধীনতা ও জাতীয় স্বার্থে তিনি কখনো আপস করেননি।”
সাবেক মন্ত্রী জামাল হায়দার বলেন, “তিনি ছিলেন সব্যসাচী রাজনীতিবিদ।”
এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা তার “থ্রি ইউনিটি” তত্ত্বকে জাতীয় ঐক্যের মূল চালিকা শক্তি বলে উল্লেখ করেন।
শেষ বিদায়:
২০০৮ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন আনোয়ার জাহিদ। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে যান। তার মৃত্যুতে জাতীয় রাজনীতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা আজও পূরণ হয়নি।
মন্তব্য করুন