প্রকাশিত: ১০ ঘন্টা আগে, ০৫:৩৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় না থেকে ১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ সড়ক উপদেষ্টার

 

সদরুল আইনঃ

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ অংশে যানজটে আটকা পড়ে অবশেষে মোটরসাইকেলে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড মোড়ে এসে নাজুক মহাসড়কটি পরিদর্শন করেন।  

তিনি আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড মোড়ে নাজুক মহাসড়কটি পরিদর্শন করেন।

মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন ১২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকায় অফিসে না বসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডের অস্থায়ী কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবহেলা করলে বা অফিসে না পাওয়া গেলে তাদের সাসপেন্ড করা হবে।  

উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের গাফিলিত কারণে। এ বিষয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে এ সমস্যা সমাধান করার কথা জানান।  

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিশ্বরোড এলাকায় একটি উড়াল সেতু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ডিজাইন প্রণয়নসহ সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 সড়কপথে যানজটের কারণে রেল পথে চাপ বেড়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।  

এর আগে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তিনি আজ বুধবার সকালে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ভৈরবে আসেন। পরে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পৌঁছান।

 সেখান থেকে সকাল সোয়া ১০টায় তিনি আশুগঞ্জ হোটেল উজান ভাটি থেকে গাড়ি বহর নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোডের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। 

এর মধ্যে আশুগঞ্জের সোহাগপুর, সোনারামপুর, সরাইলের বেড়তলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন। পরে তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে করে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডে পৌঁছান।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকসহ সড়ক সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।  

মন্তব্য করুন