প্রকাশিত: ১৬ ঘন্টা আগে, ০১:১৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মাদক, নেশা ও ছিনতাইয়ের হট স্পট বৈরাগীরচালা ও তার আশপাশ এলাকা

 

নাজমুল হুদা সাদ্দামঃ

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভা শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত এলাকা। তারই ধারাবাহিকতায় বৈরাগীর চালা ও তার আশেপাশে এলাকাতেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিল্পকারখানা। 

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ দুমিঠো ডাল ভাত খেয়ে জীবিকার তাগিদে পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন ছেড়ে পড়ে থাকে এসব এলাকায়।

তাদের দুচোখজুড়ে থাকে শুধুই স্বপ্ন।স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে বাড়তি আয়ের আশায়।

কিন্তু তাদের স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছিনতাইকারীর দল।রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথেই ছিনতাইকারী দল সংঘবদ্ধভাবে বের হওয়া শুরু করে।

রাত ১০ টার পর এমনকি ফাঁকা জায়গা পেলে দিনের বেলাও প্রায়শই ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারায় এসব স্বপ্নবাজ কর্মজীবী মানুষেরা।

ছিনতাইকারীর পাশাপাশি এলাকার মানুষের মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদকসেবী ও নেশাগ্রস্ত সন্ত্রাসীদের দল।বৈরাগীর চালা ও তার আশেপাশে ইদানিং মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।প্রায় প্রতিটি ঘরেই এখন মাদকসেবীদের আস্তায় পরিনত হচ্ছে।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন,২০২৪ সালের ৫ই আগষ্টের পর থেকে ছিনতাইকারী,  মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচার বেড়ে গেছে।আইন শৃঙ্খলা অবনতির কারনে অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠার কারনেই নেশা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন তারা।

তাছাড়া এখনি এসব মাদক ব্যবসায়ীদের সামাল দিতে না বাড়লে নেশার টাকা যোগাড় করার জন্য ছিনতাই,খুন রাহজানির ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

আরেকজন বাড়ির মালিক বলেন,আমার বাড়ি করার জন্য রড ও ৫০ বস্তা সিমেন্ট বাহিরে রেখে রাতে ঘুমাই।সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি সব চুরি করে নিয়ে গেছে।রাতের মধ্যে এমন ঘটনায় আমি খুবই ভীত হয়ে পড়ি।

স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলেমেয়েরাও নেশার জগতে জড়িয়ে পড়ছে।সন্ধ্যার পর পর বৈরাগীরচালা স্কুলের পিছনে শত শত ছলেদের আড্ডা এলাকার মানুষের ধারনা তারাও নেশার সাথে জড়িত।

এছাড়া বৈরাগীরচালা উত্তরপাড়া ২/৩ জায়গায়,বৈরাগীর চালা দক্ষিনপাড়া মীরের ভিটা,খাসপাড়া এলাকায় গাজা,ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে।তাছাড়া ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বত্রই প্রতি রাতের নিত্য ঘটনায় পরিনত হচ্ছে।

আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।তা নাহলে এসব এলাকা সাধারন মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

মন্তব্য করুন