
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ, ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুরের শ্রীপুরে আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) । বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১ গাজীপুর স্পেশালিস্ট কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জুন্নুরাইন বিন আলম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪৫)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে এবং তার সহযোগী তারই ছেলে এছানুল হক (২৪)। নিহত আব্দুল্লাহ (২৬)উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামের মো. শাহাদাত আলীর ছেলে। তিনি ইউরিনিট নামক একটি স্পিনিং কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জমিজমা ও পাওনা টাকা নিয়ে আব্দুল্লাহ এবং শহিদুল ইসলাম শহীদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে একটি চায়ের দোকানে কিছুদিন আগে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার আক্রোশে গত শনিবার বিকেলের দিকে একটি স্কুলের অনুষ্ঠান চলার সময় বাশবাড়ি বাজারে প্রকাশ্যে আব্দুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে শহিদুল ইসলাম শহিদ ও তার সহযোগী এছানুল। উপর্যপুরী ছুরিকাঘাতে আহত আব্দুল্লাহ এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা নং- ১৮/১০৯ দায়ের করেন। এরপর থেকেই জড়িতদের ধরতে র্যাবের একটি টিম গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদে র্যাব সদস্যরা জানতে পারে যে, ঢাকার দক্ষিনখান থানার আব্দুল্লাহপুর আটিপাড়া এলাকায় এ হত্যাকন্ডে জড়িতরা অবস্থান করছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম শহিদ ও তার সহযোগী এছানুল হককে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। এসময় তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের সময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করে।
র্যাব-১ গাজীপুর স্পেশালিস্ট কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জুন্নুরাইন বিন আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পূর্ব শত্রুতার জেরে ভিক্টিম আব্দুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ চলমান।
উল্লেখ্য যে,গত শনিবার বিকেলের দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাশঁবাড়ি এলাকায় একটি স্কুলের অনুষ্ঠান চলাকালে বাজারে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা আব্দুল্লাহ নামের ওই যুবককে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা শাহাদাত আলী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে র্যাবের একটি টিম গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছিল।
মন্তব্য করুন