
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কাজ-কর্ম নেই। আলো জ্বলে না। ক্যামেরা-অ্যাকশন-কাট্;-আওয়াজ শোনা যায় না। তবে চলচ্চিত্রের সুতিকাগার এফডিসিতে এখন কান পাতলেই শোনা যায়, হৈ-হুল্লা, চেঁচামেচি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে শিল্পীদের দলাদলি চরমে পৌঁছেছে। কোন রকম রাখ-ঢাক না করেই কোনো কোনো শিল্পী প্রকাশ্যে, এমনকি গণমাধ্যমের সামনেই একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে চলেছেন। শিল্পীরা হয়ে পড়েছেন স্পষ্টত: দ্বিধা বিভক্ত। অথচ কাজই যেখানে শিল্পীদের ধ্যান-জ্ঞান হওয়া উচিত-সেখানে কাজের পেছনে না ছুটে নির্বাচন আর নেতাগিরি ফলাতে কেনো বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন তারা? এ প্রশ্ন ঘুরে-ফিরে দেখা দিচ্ছে সচেতন মানুষের মনে।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কি এমন মধু আছে শিল্পী সমিতিতে-যে সমিতির নেতা-নেত্রী হতে শত্রু শত্রু খেলা খেলতে হচ্ছে! মোদ্দা কথায়, শিল্পীরা এখন মোটামুটি যুদ্ধাংদেহী রূপ ধারণ করেছেন। কেউ কারও চেহারা দেখা তো দুরের কথা, ছায়া পর্যন্ত মাড়ান না।
এ অবস্থায় শিল্পীদের ইমেজ মারাত্মক হুমকির মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন এখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। নতুন তফশিল অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল ভোট যুদ্ধ হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরেই যতো অনর্থ হতে চলেছে শিল্পীদের মাঝে, এফডিসি’তে। শিল্পীরা দল-উপদলে বিভক্ত তো হয়েছেনই, সম্ভব হলে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হবেন-এমন পরিস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়।
শোনা যায়, এফডিসির বাতাসে নাকি টাকা আর ভোজন দ্রব্যের গন্ধ নাকে আসে। শিল্পী সমিতিতে নিপুনের নেতৃত্বাধীন কমিটির ইফতার চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। অন্যদিকে নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়ে রীতিমত বিশাল প্যান্ডেল টানিয়ে ডিপজল-মিশার নেতৃত্বে চলছে আরেকটি রাজসিক ইফতার মাহফিল।
এই দুই ইফতার মাহফিলকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এফডিসির সদরে-অন্দরে। যে কোন সময় একটা অঘটন ঘটলে ঘটেও যেতে পারে। কেননা চাউর আছে, নিপুনের পেছনে নেতা আছেন, আর ডিপজলদের পেছনে পুলিশ আছে। তবে দু’পক্ষের সঙ্গেই আছেন কিছু চাটুকার সাংবাদিকও। যাদের কাজ অন্ধের মতো কলম চালিয়ে যাওয়া আর অনাবশ্যক তোষামোদে ব্যস্ত থাকা। অবস্থাদৃষ্টে বলাই যায়, খেলা হচ্ছে সেয়ানে সেয়ানে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ভোট বাগিয়ে আনতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনও হচ্ছে মোটা দাগে।
এ অবস্থায় এক ধরনের বিরূপ পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পীদের ভোট যুদ্ধ একদিন দু’দিন করে এগিয়ে আসছে। দেখার বিষয়, সামনে আর কি কি ঘটন-অঘটন ঘটতে যাচ্ছে!
মন্তব্য করুন