
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক চিকিৎসক ও শয্যা সংকটে দুর্ভোগে পড়েছে সেবা নিতে আসা এ জেলার মানুষ। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের ভরসা স্থল একমাত্র সদর হাসপাতালটি।
স্বল্প সংখ্যাক ডাক্তার ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় কর্মরত ডাক্তারদের। প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী বহিঃবিভাগের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। অন্তবিভাগে দুইশরও অধিক রোগী ভর্তি হয়। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রায় সময় ৯০ থেকে ১০০ জনকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আজ বুধবার হাসপাতালে ২১২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। ২০০৫ সালে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নিত হয়ে আধুনিক হাসপাতালে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও প্রতিটি বিভাগে ডাক্তার না থাকায় বিপাকে পড়েন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল সংকট যেন পিছু ছাড়ছেনা হাসপাতালটির। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত আব্দুল্লাহ নামের (২) বছরের ছেলে গতকাল ভর্তি হয়েছিল ব্যাড না পেয়ে বারান্দায় জায়গা হয় তাদের। দেখা যায় শয্যা সংকট। পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের আওতায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যার উন্নিতকরণের কাজ। ৫৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৫০ শয্যার হাসপাতাল তৈরিতে কাজ করছে পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
হৃদরোগ, হাড়জোড়া, মেডিসিন, দন্ত, গাইনিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এসব রোগে আক্রান্ত রোগীদের ছুটতে হচ্ছে দিনাজপুর, রংপুরসহ পাশ্ববর্তী জেলায়। এতে শুধু পরিবহন খরচই নয় ডাক্তারের ফ্রী ক্লিনিকের ভাড়াসহ বিভিন্ন টেস্টের পেছনে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয় রোগীদের। আর এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ অনেকেই মেটাতে না পারায় ধিরে ধিরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বিশেষ করে আর্থিক টানপড়নে পরে নিম্নবিত্ত পরিবার গুলোকে কোন কিছু বন্দক দিতে হয় নয়তবা চড়া সুদে দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছে বাধ্য হয়ে টাকা নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হয় আর এতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা নিম্ন আয়ের লোকজন পড়ছে চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি জেলা শহরের আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকাটা সত্যিই দুঃখজনক। সরকারী হাসপাতালে সেবা নিতে আসা বেশির ভাগ মানুষই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের।
এবিষয়ে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান, হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কিছু কাজ চলমান রয়েছে। হ্যান্ড ওভারের জায়গাগুলো যেন আগে থেকে চলমান থাকে এজন্য টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এটা একি সঙ্গে দু দিক থেকে চলমান রয়েছে যেন ওদের কাজ শেষ আমাদেরও হ্যান্ড ওভারে দেরি না হয়। বিশেষজ্ঞ না থাকার বিষয় বলেছেন এবিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় জানানো হচ্ছে ও কাগজে কলমে পাঠানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন