ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ফেনীতে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসার সঙ্গে ফেনীতে তালমিলিয়ে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা। কেনাবেচায় ব্যস্ত সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ক্রেতা-বিক্রেতা কারোরই যেন দম ফেলার সময় নেই। ফেনী শহরে রয়েছে আড়ং, সেইলর, ওয়েস্টিন, রিচ ম্যান, টপ-টেন, টেক্স পয়েন্ট, ইজি, টুয়েলব, জেন্টেল পার্ক ও লুবনানসহ প্রায় ২০টি পোশাক ব্র্যান্ডের শো-রুম। জুতার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে বাটা, এপেক্স, লোটো, জেনেক্স, মেট্রো, বে, এমবি, ইউনিকসহ অন্তত ১০টি। তাছাড়া জেলা শহরেই রয়েছে তিন সহস্রাধিক সাধারণ দোকানি। শো-রুমসহ সবগুলো শপিং মলে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্র্যান্ডের শো-রুম ও শহরের অভিজাত বিপণি বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত, সবখানে বেড়েছে ব্যস্ততা। সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতে, ব্র্যান্ডের শো-রুমের তুলনায় কিছুটা মন্দা সাধারণ দোকানে কেনাবেচা। পোশাক, প্রসাধনী ও জুতা সব মিলিয়ে চলতি ঈদ মৌসুমে ফেনী শহরে হাজার কোটি টাকা বিক্রির আশা ব্যবসায়ী নেতাদের। ঈদের আগে আগেই গত এক মাসে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কেই উদ্বোধন হয়েছে অন্তত ১০টির বেশি অভিজাত পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের শো-রুম। তাছাড়া আগে থেকেই ছিল আরও বেশ কিছু শো-রুম। গেল সপ্তাহে টপ-টেনের শো-রুম উদ্বোধন করে গেলেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ফেনীর ছেলে ক্রিকেটার সাইফ উদ্দিন।

আমেরিকা প্রবাসী আবদুস সাত্তার খোকন জানান, এক ছাদের নিচে অনেক পণ্য পেয়ে এসব শো-রুমে ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের। তার মতে, শো-রুমগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় গরমে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পায়। প্রচুর ভীড়ের মধ্যে আরাম পাওয়া যায়। বিক্রেতারা বলছেন, অন্য জেলা থেকে এ জেলায় বিক্রি অনেক বেশি।

ব্র্যান্ড শপ ওয়েস্টিনের ম্যানেজার রিয়াদ হোসেইন বলেন, আশপাশের জেলাগুলোর চাইতে ফেনীতে তাদের বিক্রি বেশি। চলতি ঈদ মৌসুমে তারা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।

একাধিক ক্রেতা জানান, দামের বিস্তর ফারাক থাকা স্বত্তেও তারা শো-রুমগুলোতে ঈদের পোশাক কিনতে বেশি পছন্দ করেন। তাদের মতে, দর কষাকষিতে সময় নষ্ট হয়, বোরিং ফিল করি। তাই এক দরের দোকানই তাদের পছন্দ। কিন্তু উল্টো সুর কয়েকজন
নারী ক্রেতার।

ফারজানা আক্তার পুষ্প নামের এক ক্রেতা জানান, অনেক ঘুরেছি, শো-রুমের পণ্যের মানের তুলনায় দাম দ্বিগুণ। তিনি অকল্পনীয় দাম নির্ধারণ করায় শো-রুম কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সাধারণ দোকানীদের অভিযোগ, শো-রুমগুলো চাকচিক্যে এগিয়ে থাকায় ক্রেতাদের মনযোগ সেদিকে বেশি। তারা বলেন, ছোট বিনিয়োগকারীরা বৃহৎ বিনিয়োগের শো-রুম ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে টিকে উঠা খুবই কঠিন। এদিকে দর্জিপাড়ায় নেই আগের মত ব্যস্ততা। প্রস্তুত পোশাক পণ্য ও শো-রুমের প্রসার এক্ষেত্রে জায়গা করে নিচ্ছে বলে মনে করছেন এ পেশার মানুষরা।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আইন-শ্রঙ্খলা বাহিনীসহ সব পক্ষ তৎপর রয়েছে। পরিবেশ ভালো থাকায় নির্বিঘ্নে কেনাবেচা করছে মানুষ।

ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে ঈদ বাজার নিরাপদ ও উৎসবমূখর করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন