প্রকাশিত: ১৮ ঘন্টা আগে, ০৪:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা: ৮ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন

 

আদালত প্রতিবেদকঃ

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল আলম, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল, ও আনোয়ার।

আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত সাতজন হলেন- ইলিয়াছ, আব্দুন নূর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর।

আদালতের পেশকার আল আমিন রানা বলেন, আরও ১৭ জন আসামির দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন।

তিনি বলেন, বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আসামি সাইফুল আটকের পর থেকে অন্তত পৌনে চার বছর ধরে কারাগারে আছেন।

মামলার নথিপত্র থেকে পেশকার রানা বলেন, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের ক্ষেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম।

 এ সময় নজির উদ্দিন বাধা দেন তাকে। তার সঙ্গে চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা সুমেল মিয়াসহ স্বজনরাও ছিলেন।

বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমেল মিয়া নিহত হন। এছাড়াও  গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন।

ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ৩ মে বিশ্বনাথ থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

মামলা চলাকালে মোট ২৩ জন স্বাক্ষ্য দেন আদালতে। পরে গত ১৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ জুলাই মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।

এ বিষয়ে আদালতের এপিপি কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন ও বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মন্তব্য করুন