
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:১০ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠির নলছিটিতে ঠাকুমার সাথে সুগন্ধা নদীতে গঙ্গা স্নানে গিয়ে তৃতীয় শ্রেনীর স্কুলছাত্র আদর চক্রবর্ত্তী (০৮) স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গত শনিবার (১৩এপ্রিল) সকাল ১১টায় পৌর এলাকার কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্দা নদীর তীরে গোসল করতে গিয়ে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ আদিত্য চক্রবর্তী নলছিটি পৌর এলাকার আদর স্টুডিও'র ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে আদিত্য চক্রবর্ত্তী আদি। সে পৌরসভার বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে লেখা পড়া করতো।
শনিবার থেকে এক যোগে নলছিটি ফায়ারসার্ভিস, বরিশাল ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি দল, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল, কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল টানা ২ দিন খোঁজাখুঁজি করেও ডুবে যাওয়া আদিত্যের সন্ধান করতে পারেনি। বর্তমানে স্থানীয়রা বেশকয়েকটি ট্রলার নিয়ে মাইকিং করে সুগন্ধা নদীতে খোঁজাখুঁজি করেছেন। স্থানীয়দের ধারনা ৩য় দিনে হয়তো ডুবেযাওয়া আদিত্যের দেহ ভেসে উঠতে পারে।
শনিবার সকালে ঠাকুমা সাথে পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গা স্নানের জন্য নদীর তীরে আসে। এসময় তার ঠাকুমা স্নানে ব্যস্ত থাকায় পা পিছলে আদিত্য নদীতে পরে যায়। ঠাকুমা তাকে ধরার চেষ্টা করলেও রাখতে পারেননি নদীর স্রোত তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, নদীর এই অংশের গভীরতা অনেক বেশি। তবে তীর থেকে সেটা বোঝার উপায় নেই দেখলে মনে হবে চর। তাই এখানে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি যার কারনেই ছেলেটি স্রোতের টানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নিখোঁজ স্কুল ছাত্র অদিত্য চক্রবর্তীর বাবা শিমুল চক্রবর্তী জানান, শনিবার আমার স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে গঙ্গা পূজা করতে নদীতে নামে আমার ছেলে। হঠাৎ করে আমার ছেলে নিচে তলিয়ে যায়। অদিত্য প্রায়ই নদীতে গোসল করে। কখনো এমন হয়নি। হঠাৎ সে নদীতে ডুবে স্রোতে ভেসে যায়। এরপর দুপুর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নলছিটি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল যোগ দিয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী বলেন, ডুবুরি দলের সঙ্গে পুলিশের একটি টিম সেখানে কাজ করছেন। ডুবুরিদল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন