
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। এ বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার শৃঙ্খলার জন্য। অর্থাৎ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন—এটা করা দরকার। কিন্তু আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে একই সাথে আমি মনে করি, এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং পোষণ করছি—একটা শৃঙ্খলা আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট করার জন্য। অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক—সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এর মধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন