রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

এক সপ্তাহে ৯জনের মৃত্যু

তীব্র তাপপ্রবাহে রমেকে শিশু ওয়ার্ডে তিলধারণের ঠাঁই নেই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সারাদেশের ন্যায় রংপুরেও দেখা দিয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ । তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে রোগব্যাধী। ফলে রমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিলধারণের ঠাঁই নেই । তীব্র গরমে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের একাধিক সুত্র জানিয়েছে।এক হাজার শয্যার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী থাকে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজারের ওপর। কয়েকদিন থেকে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড খরতাপ। বৈরী আবহাওয়ায় জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগ বেড়েছে। সেই সঙ্গে রমেক হাসপাতালেও
রোগীর ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর ভিড় অত্যধিক। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় ওয়ার্ডের বারান্দাতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গরমের কারণে খুব একটা রোগী বাড়েনি। তবে দাবদাহে রোগীর সংখ্যা বাড়লে প্রস্তুতি রয়েছে।

রমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১৭৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৪ জন। যা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি। অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কুড়িগ্রাম থেকে আসা আবদুর রহমান মেয়েকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।

তিনি জানান, এক সপ্তাহ ধরে দেড় মাস বয়সী শিশুর পাতলা পায়খানা ও জ্বর। শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে। তাই রমেক হাসপাতালে ভর্তি করেছি। নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন পারুল আখতার নামে এক মহিলা। তিন দিন ধরে পাতলা পায়খানা, বমি এবং জ্বরে ভুগছে তার নাতি। শয্যা না থাকায় বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ষাটোর্ধ বোরহান উদ্দীন বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে বিপদেই পড়েছি। বেড না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক রোগীকে বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে দাবদাহের কারণে রোগবালাই মোকাবিলার জন্য মঙ্গলবার আন্তবিভাগীয় সভা ডাকা হয়েছে।

এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় রংপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস । আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই । তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ ।

মন্তব্য করুন