ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:৪৮ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

বিজয়নগরে ধর্ম অবমাননার দায়ে একজনকে আটক করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিজয়নগরের আউলিয়া বাজারে আল আমিন মিঞা নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে বিক্ষুব্ধ জনতা।  আল আমিন মিয়া তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুকে ইসলাম ও নবীর বিরুদ্ধে নানান ধরনের উসকানি মুলক পোস্ট করেন দির্ঘদিন যাবত। 

অভিযুক্ত আল আমিন মিঞা বিটি দাউদপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

তার ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অসংখ্য  পোস্ট ও শেয়ার রয়েছে।

এরই প্রতিবাদে সোমবার ২২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টার সময় উপজেলার আউলিয়া বাজারে কিছু লোক আল আমিন মিয়াকে আটক করে পরে বিষটি মুহুর্তের মধ্যে বাজার সহ আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে যায় মানুষ ঝড়ো হয়ে এর প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি  খারাপের দিকে যাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মী ও পুলিশের সহযোগিতায় আল আমিনকে আউলিয়া বাজারের এক মার্কেটের ২ তলায় নিয়ে নিরাপদে রাখা হয়। 

 আউলিয়াবাজার তদন্ত অফিসার মো: মফিজ তার সংগীয় ফোর্স সহ ঘটনা স্থলে  বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ব্যার্থ হয়। তাতক্ষনিক ভাবে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুল ইসলাম সহ আরো পুলিশ সদস্য ঘটনা স্থলে পৌছান। 

উচি আসাদুল ইসলাম সবাইকে থামানোর চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে তার উপরে ত্যাড়ে আসে বিক্ষোভকারীরা।

ধীরে ধীরে বিক্ষুব্ধ জনতার ভীড় বাড়তে থাকে, তারা আল আমিনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব নুরুন্নবীর উত্তেজিত বক্তব্যের এক পর্যায়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে থাকে। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে, এতে সাংবাদিক পুলিশসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। 

আল আমিন মিয়া তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেনয়:

কুরআন কিছু সার্বজনীন মূলনীতি সম্পর্কে পথ দেখায়। আর প্রায় ৩% আয়াতের মধ্যে সরাসরি চিন্তা করার ইঙ্গিত দেয়।

আল্লাহ যদি চাইতেন মানুষ বিনা প্রশ্নে রোবটের মতো সব মেনে নিক তাহলে মস্তিষ্কটাই দিতেন না। দিতেন না চিন্তাকে অবিশ্বাস্য উচ্চতায় উন্নত করার সক্ষমতা।

মুসলিম জাতির সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা গত সোয়া ছয়শো বছর ধরে চলছে তা হলো- চিন্তার দারিদ্র্য। এই দারিদ্র্যের কারণেই তারা পথ হারিয়েছে। এমন আরো অসংখ্য পোস্টে রয়েছে কোরআন অবমাননা ও জাকাত কে বলছেন ট্যাক্স আরো অসংখ্য ধর্ম বিরোধী স্টাটাস। 

আল আমিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন তাকে দিয়ে আহমেদ তাজিম নামক একজন ঢাকা থেকে এই কাজ করায়। কিন্তু তার ফেইসবুক পোস্টের কমেন্টে দেখা যায় সে নিজেই ইসলাম বিরুধী স্টাটাস দেয় বলে জানায়।

এই ঘটনার প্রসঙ্গে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুল ইসলাম বলেন, আল আমিন মিয়াকে আমরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মন্তব্য করুন