
প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
‘ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই। আমরা সাধারণ মানুষের সেবায় বিশ্বাসী। আগামী নির্বাচনে ইদ্রিস ফরাজীকে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আমরা জাজিরাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।’
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রুবেল বেপারী এক নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেছেন। নিজের ফেসবুক আইডিতে ওই বক্তব্যের ভিডিও আপলোড দিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে গত রোববার (১২ মে) বিকেলে জাজিরা উপজেলার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর নির্বাচনী সভায় তিনি ওই বক্তব্য দেন।
চার মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে রুবেল বেপারী বলেন, ইদ্রিস ফরাজীর বিরুদ্ধে যিনি (ঘোড়া প্রতীকের এসএম আমিনুল ইসলাম রতন) প্রার্থী হয়েছেন, তিনি নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। নৌকা প্রতীকের পক্ষে যারা কাজ করেছেন, তাদেরকে হত্যা করে তিনি মার্ডার মামলার আসামি হয়েছেন। সকলেই জানেন তিনি নানান জায়গায় বক্তৃতায় ইদ্রিস ফরাজীর বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি দেন। আসলে সাধারণ মানুষ ইদ্রিস ফরাজীর পক্ষে রয়েছেন। আমরাও ইদ্রিস ফরাজীর পক্ষে রয়েছি। আপনার এই হুমকি-ধমকি কোনো কাজে আসবে না। আগামী ২১ তারিখের নির্বাচন একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও গঠনমূলক হবে। সাধারণ মানুষ নিরাপদে শান্তিতে ভোট দেবে। মোটরসাইকেল প্রতীকে ইদ্রিস ফরাজীকে ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে আমরা ঘরে ফিরব, এর আগে আমরা কেউ ঘরে ফিরব না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস রাখি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার ১০ বছর উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বংশে বংশে বিভেদ সৃষ্টি করেন নাই। কারো ভূমি দখল করেন নাই। কারও সঙ্গে মারামারি করতে যান নাই। আপনারা জানেন, রতন সরদারের (ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী) বিরুদ্ধে বড় কান্দি ইউনিয়ন, পালের চর ইউনিয়ন, কুন্ডেরচর ইউনিয়নে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেখানকার সাধারণ মানুষ ভয় পায় কথা বলতে, তারা সাহস পায় না। তাই আমরা উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে যারা রয়েছি, তারা সাহস রেখে বলতে চাই আমরা কোনো ভূমি দস্যুকে, কোনো সন্ত্রাসীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে পারি না। কারণ উপজেলা পরিষদ সাধারণ জনগণ, নেতাকর্মীদের আস্থার জায়গা। আমরা একজন ভদ্র-মার্জিত লোককে চাই। ইদ্রিস ফরাজি তার কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন তিনি মানুষের সেবা ও কল্যাণে নিয়োজিত। তার অর্থনৈতিক লোভ নাই।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী বলেন, বক্তব্যটা ওভাবে দেইনি আমি। আমি বলেছি, সন্ত্রাস করে লাভ নাই। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী করে না। ছাত্রলীগ সন্ত্রাস করলে অনেক কিছু করতে পারে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী করলে অনেক কিছু করতে পারে। বক্তব্যটা এডিট করা। আমার কাছে সম্পূর্ণ ভিডিও রয়েছে, আপনি আমার ফেসবুক আইডিতে দেখুন। আমি নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত আছি। ফ্রি হয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।
বিষয়টি জানার জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, রুবেল বেপারী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা উসকানিমূলক। উসকানিমূলক এমন বক্তব্য দিয়ে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা ব্যালেটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর বলেন, ছাত্রলীগে কোনো সন্ত্রাস নাই। এমন কথা যদি কেউ বলে থাকে, তবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। যদি এমন কোনো বক্তব্য তিনি দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করব।
জানা যায়, দুই সন্তানের জনক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারি ঠিকাদারি করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন। তার নেতৃত্বে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ ও আসবাবপত্রের জন্য আহ্বান করা দরপত্রের বাক্স ভেঙে ফেলা হয়। পরে দরপত্রগুলো ছিনিয়েও নেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও তিনি একই বছরের ৩০ মে শরীয়তপুরে আলোচিত পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় ৭২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আসামিদের মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, রুবেল বেপারী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা উসকানিমূলক। উসকানিমূলক এমন বক্তব্য দিয়ে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা ব্যালেটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর বলেন, ছাত্রলীগে কোনো সন্ত্রাস নাই। এমন কথা যদি কেউ বলে থাকে, তবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। যদি এমন কোনো বক্তব্য তিনি দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করব।
জানা যায়, দুই সন্তানের জনক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারি ঠিকাদারি করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন। তার নেতৃত্বে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ ও আসবাবপত্রের জন্য আহ্বান করা দরপত্রের বাক্স ভেঙে ফেলা হয়। পরে দরপত্রগুলো ছিনিয়েও নেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও তিনি একই বছরের ৩০ মে শরীয়তপুরে আলোচিত পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় ৭২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আসামিদের মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন