বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৪, ০১:১৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বেতাগীতে জমে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার বেতাগীতে, ২১ মে, (মঙ্গলবার ) ২০২৪ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলায় প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে বেতাগী উপজেলার নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর গ্রামের হাট-বাজার, অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। আবার গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা।

তবে ভোটাররা বলছেন, সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী উন্নয়ন করতে পারবে তাকেই চান সাধারণ ভোটাররা। তাই নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।

এদিকে ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলেন সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রার্থীদের সাথে। বেতাগী উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শোকজ করা হয়েছে এবং লাইসেন্স বিহীন আগ্নেয়াস্ত্রসহ (কার্তুজ ভর্তি পিস্তল) নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু নামের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার গাড়ি চালককে আটক করেন বেতাগী থানা পুলিশ। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের দু‘জনকে অস্ত্র আইনে মামলার আসামী করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এই উপজেলায় মোট ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ০৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ০২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ০৫ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের খ.ম. ফাহরিয়ার সংগ্রাম আমিনুল দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ'কে বলেন, আমি ০৫ বছর বেতাগী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তাই আমি আশাবাদী জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবে। নির্বাচিত হলে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট উপজেলা পরিষদ গঠনে কাজ করব। এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফারুক আহমেদ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ’কে জানান, নির্বাচন ঘিরে আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার রয়েছে। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে। কোথাও যদি আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন হয় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

উপজেলায় আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এখন পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

মন্তব্য করুন