
প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহীর তানোরে কৃষি দপ্তরের ভর্তুকির নামে একজনের মেশিন আরেক জনকে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ। গত ঈদূল ফিতরের পরে ঘটে মেশিন বিতরনের ঘটনাটি। এঘটনায় ভুক্তভোগী সহিদুলকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করতে নিষেধ করেন। যার কারনে সহিদুল ব্যাংক চালান দিয়েও মেশিন না পেয়ে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে কৃষি দপ্তরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী সহিদুল বলেন, আমাকে গার্ডেন ট্রেলার দেয়ার জন্য ঈদুল ফিতরের আগে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৭৩৪ টাকা চালান দেয়া হয় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু চালান দেওয়ার পর রহস্য জনক কারনে আমাকে গার্ডেন ট্রেলার দেয়নি। এটা অফিসের কর্মকর্তারা অধিক সুযোগ নিয়ে অন্য ব্যক্তিকে দিয়েছেন। আমি অফিসে একাধিকবার বলেও তারা পাত্তাই দেয়নি।
আমি অফিসের আলী রেজার মাধ্যমে চালান দিয়েছি এবং তার কাছেও জমা আছে। আলী রেজার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাব জানিয়ে দেন আমি কিচুই বলতে পারব না।
কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, আমি ওই সময় বাবা মাকে নিয়ে ওমরা হজ্বে ছিলাম। যিনি গার্ডেন প্রজেক্ট করে তাকে দেয়ার নিয়ম। কিন্তু ভুলবশত একজনের নামে চালান হয়ে আরেকজনকে দেয়া হয়েছে। সহিদুলকে আগামীতে দেয়া হবে।
কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ স্টেশনে থাকেন না। তিনি নিয়োমিত সরকারী গাড়ী নিয়ে শহর থেকে অফিস করেন এবং গাড়ীতে করে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান বলেও অহরহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আবার নিয়মবহির্ভূত ভাবে তার দপ্তরে এসি ব্যবহার করেন।
এবিষয়ে মোবাইলে জেলা উপপরিচালক উম্মে ছালমার মোবাইল একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করুন