
প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২৪, ০৩:২৭ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার বাজারে ডিমের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। হুট করে দাম কমিয়ে খামারিদের কাছ থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে এলাকাভিত্তিক সিন্ডিকেট। অবৈধ মজুত রেখে সুযোগ বুঝে সরবরাহ কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ডিমের দাম।
বগুড়া সদরের হিমাগারে অবৈধভাবে মজুত ১ লাখ ৮ হাজার ৬১০ পিস ডিম এবং শাজাহানপুর উপজেলার হিমাগারে ৩০ হাজার ডিম মজুত রাখার প্রমাণ পেয়েছে প্রশাসন।
শনিবার (১৮ মে) বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান ও শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল নাইম পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ডিমগুলো দুই দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের ঘোরাধাপ এলাকার সাথী ইউনিট-২ হিমাগারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কৃত্রিম সংকট মুহুর্তে অবৈধভাবে হিমাগারে লক্ষাধিক ডিম মজত রাখার দায়ে প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রাকিবুল হাসান। ওই হিমাগারে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ডেকে ৪০ হাজার ডিম বিক্রি করা হয় এবং অবশিষ্ট ডিমগুলো দুইদিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে শাজাহানপুর উপজেলার ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৩০ হাজার ডিম মজুত রাখার দায়ে ব্যবসায়ী হাসেন আলীকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জান্নাতুল নাইম।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বগুড়ার মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মো. আবু তাহের জানান, কোল্ড স্টোরে ডিম মজুতের কারণে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এ অভিযান নিয়মিত চলবে।
মন্তব্য করুন