রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচনে ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির বর্জন: ইসি আমলগীর

ছবি সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোট কম পড়ার বড় কারণ হলো বিএনপির ভোট বর্জন। কেননা দলটি ভোট বর্জন করায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট দিতে যাননি।

রোববার (১৯ মে) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কত ভোট পড়বে তা বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না। তাই ভোটের হার নিয়ে বলা যাবে না।

ধান কাটার মৌসুম ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ বিষয়টা এমন নয়। আপনারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে (গত ৮ মে) তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে।

সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, বিএনপি নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করেছেন এটা তারা বলতে পারেন। তবে জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট বর্জনের কথা তারা বলতে পারবেন। ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় কারণ বিএনপি। কারণ তারা ভোট বর্জন করায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন না। তবে বিএনপি একমাত্র কারণ না। বিশেষ করে আরেকটা বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে ভোট দিতে আসতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতে সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, হলফনামায় ভুল কিছু বলা হলে আইনে শাস্তির কিছু বলা নেই। তবে এখানে প্রার্থী শপথ করে, কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে যেকোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারবেন। আদালত তখন শাস্তি দিতে পারেন প্রমাণ হলে। তবে ইসির কিছু করার নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি আমাদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয় সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছেন, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে কমিশন- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের কয়দিন পর ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয় না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

ভোটের মাঠে অস্ত্রবাজি হচ্ছে- কী ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ।

মন্তব্য করুন