
প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেরর দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভোটের খরা কাটেনি দুপুরেও। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে দুপুর সারে ১২টা পর্যন্ত গোটা উপজেলায় ভোট পাড়েছে গড়ে ৬ থেকে ৭ পার্সেন্ট। একই চিত্র দেখা গেছে গাইবান্ধা সদরসহ অন্য দুটি উপজেলায়ও। এখানে ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে অনাগ্রহী দেখা গেছে। তবে কেন ভোট দিতে ভোটাররা অনাগ্রহী, কেনইবা প্রার্থীরা তাদের ভোটে আনতে ব্যর্থ হলেন। কেন নেই উৎসবমুখর পরিবেশ নেই, সে বিষয়ে কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক-সার্বিক) বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অপারগতা জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান এবং শাকিল আকন্দ বুলবুলও ব্যাস্ততার অজুহাত এড়িয়ে যান।
দেশের সাধারণ মানুষের এমন অনীহা ও আস্থাহীনতার ফলে স্থানীয় সরকারের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে যাও ভোটার ছিল, চলমান দ্বিতীয় ধাপে ভোটারের খরা চরম আকার ধারণ করেছে। ভোটকেন্দ্রে দুপুর পর্যন্ত অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। অথচ ইসির প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয় পর্বের ভোটে উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু সে লক্ষণ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জের বালুভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গড়ে ৯টা করে ভোট পড়েছে। কোনো কোনো বুথে ৪টা আবার কোনো বুথে ২২টা।
পারগয়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৪টা এবং সর্বোচ্চ ৯টা ভোট পড়েছে।
গুমানিগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্রের মধ্যে চাঁদপুর আরেফিয়া স্কুল, পারগয়ড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুল কেন্দ্রের এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা। যেহেতু তারা নির্বাচনে নাই, তাই দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ি তারা ভোট দিতে আসছে না। ওই দুই কেন্দ্র প্রায় পৌনে তিন হাজার ভোটার।
কর্বত্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আগের মতো ভোটার আসে না। মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ নেই।
মন্তব্য করুন