
প্রকাশিত: ২৪ মে, ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের ঘটনার আলোচনা না দমতেই এবার চাউর হলো আরও একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের খবর। এবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ব্যাসিলিস্ক’। জাহাজটিতে আক্রমণের পর জলদস্যুরা জাহাজের অপারেশন রুমের নিয়ন্ত্রণ দখল করে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। জলদস্যুদের হামলায় একজন নাবিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আরও ১৭ জন ক্রুকে জাহাজের নিরাপদ কক্ষে বন্দী করে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ডেইলি সোমালিয়ার খবরে বলা হয়, দেশটির রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৩৮০ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের মুখে পড়ে। জাহাজটি নেদারল্যান্ডসের রটারডাম থেকে ছেড়ে কেপ ভার্দে পোর্তো গ্র্যান্ডে থামার পরে দুবাইয়ের জাবাল আলী বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানিয়েছে, ছিনতাইটি মোগাদিশুর পূর্বে লোয়ার শাবেলে অঞ্চলের মার্কা জেলার প্রায় ৪২০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ঘটেছে। ইউকেএমটিওর মতে, অজ্ঞাত হামলাকারীদের বহনকারী দুটি নৌকা থেকে আক্রমণকারীরা জাহাজটিতে উঠেছিল। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চলাচলকারী নৌযানকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে ইউকেএমটিও।
শিপিং বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ট্রেড উইন্ডস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিনমেরিন এমপিপি শিপ ম্যানেজমেন্টের একজন মুখপাত্র এমভি ব্যাসিলিস্কের জলদস্যুদের কবলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই মুখপাত্র জানান, জাহাজের মাস্টারের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। এতে তাদের ধারণা হয়েছে জাহাজের নাবিকরা জলদস্যু আক্রমণের পর সিটাডলে আশ্রয় নিয়েছেন। জাহাজে মোট ১৭ জন নাবিক আছেন।
এছাড়া ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগরে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সংস্থা ইইউএনএভিএফওআর-অপারেশন আটলান্টাও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ নাটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় ৩৩ দিন পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায়। এরপর প্রায় একমাসের ব্যবধানে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাসের পর গত ১৪ মে নাবিকদের নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশে পৌঁছে
মন্তব্য করুন