
প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দিনভর ভারি বৃষ্টির কবলে পড়েছে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলাবাসী। অনবরত বৃষ্টির আর দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে অনবরত। এতে উপজেলার ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে বিপাকে।
সোমবার (২৭ মে) গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারি বৃষ্টিতে রূপ নিয়েছে, সঙ্গে বেড়েছে দমকা হাওয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টির কবলে পড়লেও বাতাসের তীব্রতায় এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। খুব বেশি প্রয়োজন ঘরের বাইরে খুব একটা বের হচ্ছেন না কেউ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ি ও শ্রমজীবী মানুষরা। দমকা হাওয়ার গতিবেগে উপজেলাবাসী শঙ্কিত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পাওয়া যায়ননি।
লাকসাম বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরেই শুনছি ঘূর্ণিঝড় আসছে। এরকম খবরে আমরা আতঙ্কিত ছিলাম। ভোর থেকে প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, পরে ধীরে ধীরে বৃষ্টি বাড়তে শুরু করে, সঙ্গে শুরু হয় দমকা বাতাস। টানা বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আমরা আজ লোকসান গুনছি।
বাজারের আরেক ব্যবসায়ী চন্দন সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আমাদের এখানে দিনভর বৃষ্টির কারনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারছিনা। আজ সারাদিন ব্যবসা না করতে পারায় দৈনিক হিসেবে লোকসানে আছি।
লাকসাম দৈনিক বাজারে কাজ করতে আসা দিনমজুর শাহজাহান বলেন, আমরা দৈনিক কাজ করি, দৈনিক বাজার করি। আজ ঘূর্ণিঝড়ের কারনে কোন কাজ নেই তাই সদাইপাতিও নিতে পারবোনা বাড়িতে।
মন্তব্য করুন