রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ মে, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দেশে ফিরে যেসব তথ্য জানালেন ডিবিপ্রধান

ছবি সংগৃহীত

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার তদন্ত করে দেশে ফিরেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল। দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন হারুন অর রশিদ। তিনি বলেছেন, “এমপি আনার হত্যায় অভিযুক্ত শাহিনকে দেশে আনতে পারলে ঘটনার পুরো বিষয়টি জানা যাবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

উদ্ধার করা মাংস নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মরদেহের উদ্ধার করা খণ্ডিত অংশগুলো এমপি আনারের। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।”

এর আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান বলেন, “তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কলকাতায় এসেছিলাম। আমরা যে মূল ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছি, তার কাছে থেকে পাওয়া তথ্য আমরা মিলিয়ে নেওয়ার কাজ করেছি কলকাতায়। দ্বিতীয়ত, ভারতে যে গ্রেপ্তার জিহাদ, তার সঙ্গে আমাদের কাছে থাকা মূল ঘাতকের কথা মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে শতভাগ মিলেছে আমাদের কাছে গ্রেপ্তার মূল ঘাতক ও ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদের কথা।”

হারুন অর রশিদ বলেন, “আমাদের আরও একটি বিষয় ছিল, সেটি হলো স্বচক্ষে ডিজিটাল এভিডেন্সগুলো মিলিয়ে দেখা। এমপি যার বাসায় ছিলেন, সেই গোপাল বাবুর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।”

ডিবি প্রধান বলেন, “আমরা সিআইডিকে বলেছিলাম সেপটিক ট্যাংক ও কমোড ভেঙে দেখার জন্য। আমাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি কিন্তু সেপটিক ট্যাংক থেকে ভিকটিমের দেহের অনেক খণ্ডাংশ পেয়েছে। আরও ভালো খবর আপনারা পাবেন।”

এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, “আরেকজন আসামি রয়েছে কাঠমান্ডুতে। আরেকজন আসামি রয়েছে আমেরিকায়, তিনি আমেরিকার নাগরিক। অভিযুক্ত সিয়ামের তথ্য চেয়ে আমরা ইতোমধ্যে নেপালকে জানিয়েছি। এই ঘটনা মূল যে অভিযুক্ত শাহীন সে কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি, যেহেতু এখানে একটি মামলা হয়েছে, শাহিন এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত... তাকে যেন ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করা হয়।”

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, “সেপটিক ট্যাংক থেকে যে মরদেহের খণ্ডাংশগুলো পাওয়া গেছে, আমরা ধারণা করছি এগুলো এমপি আনারের। তবে, ডিএনএ টেস্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়া এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। ডিএনএ টেস্টের জন্য ভিকটিম আনারের মেয়ে ভারতে আসবে। ডরিনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সে ভিসার জন্য আবেদন করেছে।”

মন্তব্য করুন