ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ জুন, ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কাঠালিয়ায় আগুনে কৃষকের ৮ গরু ১১টি ছাগল পুড়ে ছাই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় একটি খামারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দিলীপ কুমার সমদ্দার নামের কৃষকের ৮টি গরু ১১ টি ছাগল ও হাঁস মুরগী মারা গেছে। এসময় খামারের মধ্যে থাকা তৈল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী ও বাদাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার (৩ জুন) ভোররাত তিনটার দিকে উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামে। এতে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, ভুক্তভোগী কৃষক দিলীপ কুমার সমদ্দার। 

মশার কয়েল থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নেছার উদ্দিন ও থানার ওসি মো.নাসির উদ্দিন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, উপজেলার ১নং চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের কৃষক দিলীপ কুমার সমদ্দার দেশীয় গরু, ছাগল হাঁস মুরগী দিয়ে একটি খামার করেন। বাড়ীর অদুরে ভান্ডারিয়া-আমুয়া কৈখালী সড়কের মাঝি বাড়ী বাজারের পশ্চিম পাশে সেমি পাকা ভবনের খামারে গরু ছাগল ও হাঁস মুরগী পালন করছিল। আজ সোমবার (৩জুন) ভোরাতে তালাবদ্ধ ঘরে আগুন লেগে পুরো ভবনটি পুড়ে যায়।  

ভুক্তভোগী দিলীপ কুমার জানান, রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় প্রতিদিনের ন্যায় গরু ছাগল ও হাঁস মুরগী খামারের ভবনে তালা দিয়ে আটকে মশারী টানিয়ে ভিতরে মশার কয়েল জালিয়ে বাড়ীতে যান। রাত ১টার দিকে পুনরায় খামারে আসেন কৃষক দিলীপ কুমার তখনও সব কিছু ঠিক ছিল। সকালে স্থানীয় লোকজন জানায় তার খামারে আগুন লেগে সব পুড়ে গেছে। এসে দেখেন খামারের ৮টি গরু ১১ টি ছাগল হাঁস মুরগী মারা গেছে। এছাড়া খামারের মধ্যে থাকা গো-খাদ্য, সূর্যমুখি ও বাদাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে এ অর্থ দিয়ে তার সংসার চলতো। এখন কিভাবে সংসার চলবে তা বলতে পারছেনা দিলীপ কুমার। 

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো.মাহবুব আলম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কৃষককে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.হারুন অর রশীদ জানান, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহবুব আলমের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই। ওই কৃষককের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই। চেষ্টা করছি তাকে আর্থিক সহযোগীতা করার।

কাঠালিয়া থানার ওসি মো.নাসির উদ্দিন সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোন নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মশার কয়েলের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে যা খামারের মালিক নিজে স্বীকার করেছে। তারপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নেছার উদ্দিন জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হবে। 

মন্তব্য করুন