
প্রকাশিত: ৪ জুন, ২০২৪, ০৩:২১ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিজ্ঞানী ক্লাউদিয়া শেইনবাউম (৬১)। তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন বামপন্থী দলের প্রার্থী।৷
আগামী ১ অক্টোবর বিদায়ি প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রবিবারের ভোটে মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র ক্লাউদিয়া ৫৮ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী শোচিত গালভেজের চেয়ে ৩০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন তিনি।
জয়ের পর এক ভাষণে ক্লাউদিয়া শেইনবাউম সাবেক প্রেসিডেন্ট লোপেজের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোর ২০০ বছরের ইতিহাসে আমিই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছি। এটা শুধু আমার অজর্ন নয়, বরং সব নারীর অর্জন। আমি আপনাদের হতাশ করব না।’
প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে মেক্সিকোর মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ক্লাউদিয়া। মেক্সিকো সিটির মেয়র পদ দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক অবস্থান, যা পরবর্তী সময়ে তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথকে মসৃণ করেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। ক্লাউদিয়ার পূর্বপুরুষ ছিল ইহুদি।
তাঁর নানা-নানি নািসদের ভয়ে বুলগেরিয়া থেকে পালিয়ে মেক্সিকোতে চলে এসেছিলেন। আর দাদা-দাদির শেকড় ছিল লিথুনিয়ায়। তাঁর মা-বাবা দুজনই ছিলেন বিজ্ঞানী।
পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনা করা ক্লাউদিয়া পরবর্তী সময়ে শক্তি প্রকৌশলে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বিখ্যাত গবেষণাগারে মেক্সিকোর শক্তি ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন।
এই অভিজ্ঞতা ও অধিকারকর্মী হিসেবে কাজ করার সুবাদে মেক্সিকো সিটির পরিবেশ সচিবের দায়িত্ব পান তিনি। ওই সময় নগরের মেয়র ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ। ২০১৮ সালে ক্লাউদিয়া মেক্সিকো সিটির প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পদত্যাগ করেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়াও মেক্সিকোর আইনসভার সদস্য, আটটি রাজ্যের গভর্নর ও মেক্সিকো সিটির মেয়র নির্বাচিত করতে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে এবারের নির্বাচন দেশটির ইতিহাসে অন্যতম সহিংস নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। সরকারি হিসাবে সারা দেশে সহিংসতায় ২০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও অন্যান্য জরিপ বলছে মৃতের সংখ্যা ৩৭। সূত্র : বিবিসি, এএফপি
মন্তব্য করুন