ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ জুন, ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সার-বীজ জব্দে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ৬নং আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ও যুবলীগ নেতার বাসা থেকে কৃষি প্রণোদনার ১৯ বস্তা সার ও বীজ জব্দের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারসহ তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান বিন ইসলাম বাদী হয়ে স্থানীয় আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার, ইউপি সদস্য মো.হেলাল সিকদার ও আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক হাওলাদারকে আসামী করে থানায় এ মামলাটি করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো.নাসির উদ্দিন সরকার।

মামলার বিবরণে জানাগেছে, খরিপ মৌসুমে উফসি আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রনোদণা কর্মসূচির আওতায় এ বছরের এপ্রিল মাসে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে রাসায়নিক সার ও আউশ ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলার ৩৭শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ড্যাপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৬শ ২৫ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হয়। কিন্তু বিতরণের দুই মাস পর গত মঙ্গলবার (৪জুন) দুপুরে আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. হেলাল উদ্দিন অটো রিকশা যোগে পরিষদের গোডাউন থেকে সার ও বীজ গোপনে স্থানান্তর করছিল। স্থানীয় লোকজন তা দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন পরিষদের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৬ বস্তা ব্রী-ধান ৪৮ জব্দ করে। তার সূত্রধরে পরে স্থানীয় সাতানী বাজারের যুবলীগ নেতা দীপক হাওলাদারের বাসা থেকে ৪৮ ও ৯৮ জাতের ৬ বস্তা ব্রী-ধান ও ৭ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়।  

মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মো.মিঠু সিকদার জানান, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করছে। সার বীজ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেনা। 

কাঠালিয়া থানার ওসি মো.নাসির উদ্দিন সরকার জানান, সার বীজ জব্দের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফাতারে জোর প্রচেস্টা অব্যাহত আছে। 

 

মন্তব্য করুন