
প্রকাশিত: ৯ জুন, ২০২৪, ১০:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গৃহবধূ খালেদা আক্তার রিতুকে তিন কন্যা সন্তানসহ বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার (৯ জুন) সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রেমিক মেহেদি হাসান নামে এক যুবককেও আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই নারী মূলত স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলো বগুড়া ।
মেহেদী হাসান নামে ওই যুবকের সঙ্গে রিতুর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ধরে তার কাছে চলে যায় ওই গৃহবধূ। পুলিশি হেফাজতে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজয়নগর থানায় নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন রিতুর বাবা। এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, ওই নারী স্বেচ্ছায় চলে যান বগুড়ায়।
মেহেদী হাসান নামে বগুড়ার ওই যুবকের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ অবস্থায় প্রেমিক মেহেদীকে আখাউড়ায় নিয়ে আসে রিতু। বগুড়ায় গিয়ে তারা একটি ভাড়া বাসায় উঠেন।
পুলিশ আরো জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই নারীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
গত শনিবার রাত তিনটার দিকে বিজয়নগর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম বগুড়ায় পাঠানো হয়। বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের নিয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশের টিম ঢাকার কাছাকাছি রয়েছে বলে জানান। ওই নারী ও যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
রিতুর বাবার সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়।
তাদের ঘরে তাবাচ্ছুম আক্তার (১০), তানিশা আক্তার (৭) ও হুমায়রা আক্তার (৫) নামে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ২ জুন রিতু আখাউড়া থেকে তার নিজ বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানি গ্রামে বেড়াতে আসে। গত ৭ জুন শশুর বাড়ি আখাউড়া যাওয়ার জন্য তাকে পূর্ব পরিচিত সুমন নামে এক পরিচিত চালকের অটোরিকশায় রিতুকে উঠিয়ে দেন আব্দুল আউয়াল। ওই অটোচালক সিঙ্গারবিল বাজারে গিয়ে তাদেরকে আরেকটি অটোরিকশায় উঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন