জুবায়ের আহমেদ, লন্ডন

প্রকাশিত: ১৫ জুন, ২০২৪, ১১:০৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ব্রিটেনে ঈদ কাল, ছুটি নেই বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট কর্মীদের

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আগামীকাল ১৬ই জুন রবিবার পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করবেন ব্রিটেনসহ ইউরোপের মুসলমানরা। ইউরোপের সর্ববৃহৎ ইস্ট লন্ডন মসজিদসহ ব্রিটেনের প্রতিটি শহরের মসজিদ ও খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে একাধিক ঈদ জামাত। প্রতিবারের ন্যায় এবারো পূর্ব লন্ডনের মাইল এন্ড স্টেডিয়ামে খোলা মাঠে  ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছরের ম‌তো এবা‌রেও হাজার হাজার বাংলাদেশি পরিবার দে‌শের পাশাপাশি লন্ডনেও কোরবানি দি‌চ্ছেন। এবার ঈদ ব্রিটেন ও ইউরোপে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রবিবা‌র হবে, তাই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক লাখ মুসলমান পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের সুযোগ পা‌বেন।

তবে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও কাজে যেতে হবে ব্রিটেনে বসবাসরত কয়েক হাজার বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট শ্রমিককে। কাজ করতে হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুই ধর্মীয় উৎসবের একটিতে। ঈদের নামাজের সময় ছাড়া সেদিন সারাদিন কাজ করতে হবে তাদের।

বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট কর্মী তাজুল ইসলাম রুপালী বাংলাদেশকে বলেন, আমাদের শ্রমিকদের কোন সংগঠন না থাকায় আমরা সম্মিলিতভাবে এই দাবিটি তুলতে পারছিনা। বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলো ঈদের দিন বন্ধ না রাখা দুঃখজনক। আমাদের এখানে আসলে কিছুই করার নেই। ঈদের জামাত শেষে অনেকেই কাজের জন্য ছুটতে হয়। 

হিজরি সন অনুযায়ী ঈদুল আজহা জ্বিলহজ্বের ১০ তারিখে উদযাপিত হয়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এই দিনটিতেই মহান আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করে থাকেন।

হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত হিসেবে এই কুরবানী দিয়ে থাকেন মুসলমানরা। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ইব্রাহিম (আ.) তার শিশু পুত্র ইসমাঈল (আ.) কে কুরবানী করতে চেয়েছিলেন। তবে আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে ইসমাঈলের পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানী হিসেবে কবুল করেন। সেই ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলমানদের জন্যও কুরবানীকে একটি ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়।

এছাড়াও এই জিলহজ্ব মাসেই সামর্থ্যবান মুসলমানরা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ পালন করে থাকেন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফসহ বেশ কয়েকটি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এই হজ পালন করে থাকেন মুসলমানরা।

মন্তব্য করুন