
প্রকাশিত: ২৩ জুন, ২০২৪, ০২:৩৩ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, ঈদের দু’দিন আগে গত ১৫ জুন কালীগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে ৪টি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন গাড়িতে ২৬৪ বস্তা ভিজিএফের চাল নিয়ে যাওয়া হয় মহেশপুর উপজেলার খালিশপুরে, যেখানে প্রতিটি গাড়িতে চাল ছিল ৬৬ বস্তা করে।
পরিবহনের সময়ে চালকের কাছে তিনটি বিলি আদেশ (ডিও) পাওয়া গেছে। বিলি আদেশগুলোতে কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রনি লস্কর, ৬ নম্বর ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর মালিয়াট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান খানের নামে বরাদ্দকৃত চাল।
বিক্রি কৃত চাল গত ১২ জুন বরাদ্দ দেওয়া হয় যার মেয়াদ ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রনি লস্করের জন্য ২.৫ মেট্রিক টন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের জন্য ৩ মেট্রিক টন ও আজিজুর রহমান খানের জন্য ২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য গুদাম থেকে বের হওয়া ভিজিএফএর এই চালগুলো ছিল অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য বিশেষ করে ঈদের আগে যে চালগুলো গরিব মানুষদের দেওয়া হয়। আর এই চালগুলো কোরবানির ঈদের আগে দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রদান করার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল।
৪ নম্বর নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রনি লস্কর বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ মুঠোফোনে ৬ নম্বর ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল হিজড়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ফোনে আমি কিছুই বলব না। আপনি সরাসরি ইউনিয়নে আসলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
৮ নম্বর মালিয়াট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোাগ করার জন্য একাধিকবার মোবাইল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি ।
কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহদী হাসান শিহাব বলেন, গত ১৫ জুন সরকারি বরাদ্দের চাল গুদাম থেকে দেওয়া হয়েছে। ডিও লেটার দেখালে আমরা চাল প্রদান করি। এখন এই চাল কে কোথায় বিক্রি করেছে সেটা আমি জানি না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। তবে সেটি ভিজিএফ না অন্য কোনো বরাদ্দের চাল কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন