বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ জুন, ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কারাগার থেকে আসামি পলায়ন

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং নিরাপত্তার ত্রুটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটো করে দেয়াল টপকিয়ে পালানো ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে একঘন্টার ব্যবধানে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল কি-না, খতিয়ে দেখতে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বুধবার বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গঠিত তদন্ত কমিটিতে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে জেলা পুলিশ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও জেলা কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে সদস্য রাখা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে কারাগারের প্রিজন সেল থেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়ে যায়। একঘন্টার ব্যবধানে ভোর সোয়া ৪ টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত সেই চারজন হলেন- বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্র পূর্বপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া হোসেন (কয়েদি নং- ৩৬৮৫/এ), বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (কয়েদি নং-৪২৫২/এ), কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দিয়াডাঙ্গা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে নজরুল মজনু ওরফে মঞ্জু (কয়েদি নং- ৯৯৮/এ), নরসিংদীর মাধবদীর ফজরকান্দি এলাকার ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (কয়েদি নং- ৫১০৫/এ)। পুলিশ হেফাজতে থাকা চারজনকে সনাক্ত করেন বগুড়া কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান৷ 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার আসামি একসঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানায়। এরপর দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদী পার হয়ে যায়। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, খবর পেয়ে বেতার বার্তার মাধ্যমে বগুড়া সদর থানা পুলিশের সব টহলদলকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়। ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে জেলা কারাগার সংলগ্ন নদীর ওপারের চাষি-বাজার থেকে ওই চার ফাঁসির আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। 

 

মন্তব্য করুন