
প্রকাশিত: ৩ জুলাই, ২০২৪, ১১:৩৬ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে হু হু করে বাড়ছে সবকটি নদনদীর পানি। এতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি।
বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে দুধকুমার নদের পানিও। ফলে জেলার চর ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পরেছে শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে এসব নীচু এলাকার শাক-সবজি, পাট সহ মৌসুমি ফসল। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। চারিদিকে পানি থাকায় দূর্ভোগে পরেছেন এসব বানভাসি এলাকার মানুষ। অনেকের বসতঘরে পানি উঠায় চৌকি কিংবা উঁচু মাচায় অবস্থান করছেন তাঁরা। গবাদি পশুগুলোকে নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন তাঁরা। বসত বাড়িতে পানি উঠায় অনেকেই পরিবার নিয়ে উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্লাবিত এসব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন পার করছেন।
জেলা সদরের যাত্রাপুরের দক্ষিণ ভগবতীপুরে বাসিন্দা শাহ আলম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দক্ষিণ ভগবতীপুরের ১৫-২০টি বসতবাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছে। উঁচু কিছু বাড়ী ছাড়াও অবশিষ্ট সকল বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের গোয়াইলপুরীতে অন্তত ১০০টি ও পোড়ার চরে ১২টি বসত বাড়ীতে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে কয়েক বিঘা পাটখেত ও ভগবতীপুর থেকে পোড়ার চর যাওয়ার কাচা সড়ক।
যাত্রাপুরের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমার ওয়ার্ডের গোয়াইলপুরী, রলাকাটা ও পোড়ার চরের ২৫০টি বসত বাড়ীতে পানি ঢুকেছে। বন্যার্ত এসব পরিবার নানা দূর্ভোগে রয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টার রিপোর্টে পাউবো, কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গতকাল ২৪ ঘন্টায় জানা জেলার প্রধান প্রধান সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চল গুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিপৎসীমার নিকটে রয়েছে দুধকুমারের পানিও। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
মন্তব্য করুন