বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাগেরহাটে বেড়েছে মাছ ও সবজির দাম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাগেরহাটে বেড়েছে সব ধরনের মাছ ও সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম আকার ও প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম রয়েছে আগের মতোই। 

আজ শুক্রবার শহরের বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, মেইদ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, জাবা ৩৫০ থেকে ৫০০, তুলার ডাটি ৪৫০, রুপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

বেড়েছে বাগেরহাটে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মাছের দাম। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৪০০, পাতারি বা ভেটকি ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা। 

এদিকে হরিনা চিংড়ি, চামি চিংড়ি, টেংড়া, ফাইস্যার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ছিল। বর্তমানে এসব মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ‘অসচ্ছলদের’ পছন্দের মাছ বলে খ্যাত পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

গরুর মাংস ৭৫০,খাসি এক হাজার, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২২০ এবং সোনালি ৩০০ এবং দেশি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব মাংসের দাম গেল এক মাস আগেও এ রকম ছিল। 

সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সবজির দাম। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০, বেগুন ১৬০-১৭০, টমেটো ১৫০-১৬০, করলা ১০০, কাচা মরিচ ৩৫০-৪০০, লাউ ৪০-৬০, কচুর মুখী ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিটি ২০-৩০ টাকা থাকলেও, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। পুঁইশাক, লাল শাক, কলমি শাক, লাউ শাক প্রতিটি আঁটি আগে বিক্রি হতো ১০ থেকে ১৫ টাকা-২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও, বর্তমানে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সবকিছুর দাম বাড়লেও হাতের নাগালে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া ও পটল। মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ এবং পটল ২৫-৩৫ টাকা।

দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। কম কিনে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। মাছ ক্রেতা মো. আফজাল হোসেন বলেন,আমি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। সন্তানদের মুখে আমিষ তুলে দেওয়ার জন্য পাঙাশ মাছ কিনি। কিন্তু সেই পাঙাশ মাছের দামও বেড়েছে কেজিতে ৭০-৮০ টাকা। ১৮০ টাকা কেজি দরের সিলভার কার্প মাছ আজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। তেলাপিয়া ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এভাবে মাছের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কপালে আর আমিষ জুটবে না।

মাছ বিক্রেতা মো. বাবু বলেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ তাই মাছের সরবরাহ কম। এ জন্য দাম বেড়েছে। সাগরে মাছ চলে আসলে, মাছের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে। 

বাজার করতে আসা লিঠান বলেন, বাজারের সবকিছুর দাম দ্বিগুণ। মানুষের পকেটে টাকা নাই এই ভাবে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের বেচে থাকা কষ্ট হয়ে যাবে। 

মাংস বিক্রেতা সালাম বলেন, মাংসের দাম বড়ে নাই। তবে ঈদের পরে বেচা-কেনা অনেক কম। আগে দুই-তিনটা গরু জবাই দিতাম এখন একটা জবাই দিয়ে থাকি তবুও চলে না। কারণ এখন মানুষের পকেটে টাকা নেই, আবার বৃষ্টির জন্য লোকজন আসে কম।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, নিয়মিত নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার মনিটরিং করছি। কোথাও অসংগতি পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন