প্রকাশিত: ৫ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নাগেশ্বরীতে অবনতি হয়েছে বন্যার। এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে ততই দুর্ভোগ বাড়ছে দুর্গতদের। বাড়ছে দুর্গতদের সংখ্যা। দ্বিতীয় দফা বন্যায় ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী, কালীগঞ্জ, ভিতরব›, নুনখাওয়া, কচাকাটা, কেদার, বল্লভেরখাষ, নারায়নপুর ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ ও রায়গঞ্জ ইউনিয়নের কিছু এলাকা। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। কলাগাছের ভেলায় যাতায়ত করছে এবাড়ী-ওবাড়ী। অনেকের ঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। তারা আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। এখনো বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, গঙ্গাধর, শংকোষ, ফুলকুমরসহ সকল নদ-নদীর পানি। বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যার পানির উচ্চতা। প্লাবিত হচ্ছে আরো নতুন নতুন এলাকা। এ অবস্থায় অবনতি হচ্ছে বন্যার। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে যারা বাড়ীতে আছেন হয়তো তাদেকেও আশ্রয় নিতে হবে অন্যত্র। আর জলাবদ্ধতার স্থায়িত্বের সময়কাল যত বাড়ছে ততই দুর্ভোগ বাড়বে দুর্গতদের। দেখা দিবে শুকনো খাবার সংকট। বাড়বে স্বাস্থ্যঝুকি। গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে পড়তে হবে বিপাকে। সবমিলিয়ে বাড়ছে দুর্গতদের দুর্ভোগ।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় ইতোমধ্যে ২ হাজার ২শত পরিবারের প্রায় ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৩০.৫০০ মে.টন জি.আর চাউল ও ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার শুকনো খাবার কিনে বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫ মে.টন জি.আর চাউল ও দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিতরণ করা হবে।
ইউএনও সিব্বির আহমেদ জানান, আমি সরেজমিন পরিদর্শনে গেছি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত। সার্বক্ষণিক খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।
মন্তব্য করুন